বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( mamata Banerjee) টুইট করে জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১০৫ টি ট্রেন চালাবে রাজ্য সরকার। এর পরই এই টুইট ঘিরে আক্রমণ করলেন রেলমন্ত্রী ( railway minister) পীযূষ গোয়েল ( piyush goyel) । যার পাল্টা উত্তরটি দেন ডেরেক ও ব্রায়েন। সব মিলিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ফেরানো ইস্যুতে ফের একবার উত্তপ্ত রাজনীতির ময়দান
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী নয় রাজ্য, এই অভিযোগ বিরোধীদের বহুদিনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০৫ টি ট্রেনের ঘোষনা করতে ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল সেই বিতর্ক। মমতাকে আক্রমণ করে রেল মন্ত্রী টুইট করেছেন, গতকাল আমার বক্তব্যের পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার গভীর নিদ্রা থেকে জেগে উঠেছে। সেখানকার সরকার এখন পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য মাত্র ৭ টি ট্রেনের অনুমতি দিয়েছে এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রচুর সংখ্যক শ্রমিক বাড়িঘর থেকে দূরে থাকায় আমি তাদের কাছে আরও ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।
যদিও রেলমন্ত্রীর এই আক্রমণ এর জবাব দিতে ভোলে নি তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন টুইটে লিখেছেন, লক্ষ লক্ষ দরিদ্র শ্রমিকদের দুর্দশার সময় মন্ত্রীর দেখা পাওয়া যায় নি। অর্থাৎ এখন হঠাৎ কেন মন্ত্রী এত চিন্তিত সেই প্রশ্নই তুললেন ডেরেক।
রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যথেষ্ট তৎপর নয় বলে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যেখানে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রবাসীদের মজদুরদের নিয়ে যাওয়া ট্রেনকে রাজ্যে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না, এটা তাদের সাথে অন্যায়। এর জন্য তাদের আরও সমস্যা সৃষ্টি হবে।”
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীও। তিনি এদিন বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রা্ন্তে আটকে রয়েছেন শ্রমিকরা। প্রবল অর্থ সংকটে ভুগছেন। খাবার পাচ্ছে না। বাড়ি ফেরার সব রাস্তা বন্ধ। রাজ্যের তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা আমাকে ফোন করে কাঁদছেন।”
তিনি আরো জানান, শ্রমিকদের স্বার্থে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। সেখানেই রেলমন্ত্রীর মারফত তিনি জেনেছেন যে, রাজ্যের তরফে শ্রমিকদের ফেরাতে মাত্র ২ টি ট্রেনের আরজি জানানো হয়েছিল বাংলার তরফে। যা যথেষ্ট হতাশাজনক বলেই উল্লেখ করেন তিনি।