উনি বামপন্থী মানসিকতার, তাঁর তত্ত্ব খারিজ করেছে দেশের মানুষ, অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সমালোচনা করে এ কথাই বললেন পীযূষ গোয়েল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন বঙ্গ সন্তান অভিজিত বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নোবেল জয়ের পর দেশ বিদেশ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা জানানো হয়েছে, তবে এবার নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, তাঁকে বামপন্থী মানসিকতার মানুষ বলে আখ্যা দিলেন তিনি। একই সঙ্গে অভিজিতের তত্ত্ব দেশের মানুষ খারিজ করেছে বলেও দাবি তোলেন তিনি। একটি সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিতকে অভিনন্দন জানিয়ে পীযূষ গোয়েল বলেন আমরা সকলেই জানি উনি বামপন্থী মানসিকতার, একই সঙ্গে তিনি কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বলে জানান পীযূষ গোয়েল পাশাপাশি ভারতের মানুষ তাঁর মতে খারিজ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন পীযূষ।

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগেই কংগ্রেসের তরফ থেকে একটি প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল, যার নাম দেওয়া হয়েছিল ন্যূনতম আয় যোজনা বা নেয়ার প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেসের তরফ থেকে দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী দেশবাসীর জন্য মাসে ছয় হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। যদিও এই প্রকল্পের সূচনা করে লাভবান হয়নি কংগ্রেস কারণ ভোট বাক্সে কংগ্রেস সেভাবে ভালো ফলাফল করতে পারেননি।

piyush goyal pti 1200

তাই তো অভিজিতের নোবেল জয়ের পর রাহুল গাঁধী টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি দেশের আর্থিক উন্নয়ন এবং দারিদ্রতা দূরীকরণের তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে জানান পাশাপাশি তার বদলে এখন মোদী নীতি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দারিদ্রতা বাড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে দেশের দারিদ্রতা দূরীকরণের যে ভাবে অভিজিতের গবেষণা বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়, কিন্তু তাঁর এই মনোভাব দেশের সরকারের চোখে অপরাধ বলে মনে মনে হচ্ছে,কারণ মোদী সরকারের একের পর এক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বার বার সরব হতে দেখা গিয়েছিল নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিতকে।

এমনকি নোবেল জয়ের পর সাংবাদিকদের সামনে প্রথম ভাষণ দিতে গিয়ে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি যে শ্লথ গতিতে এগোচ্ছে তা তুলে ধরেন, একই সঙ্গে ভারতের পরিসংখ্যান সঠিক না বেঠিক এই নিয়ে লড়াই চলছে তাই সরকার বুঝতে পারছে সমস্যা রয়েছে, বলেন অভিজিত্ যদিও এখানেই থেমে থাকেন নি। মোদী সরকারের অর্থনীতির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর এক কদম এগিয়ে গিয়ে দেশের দরিদ্র মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে জানিয়েছিলেন অভিজিত্।

তবে অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল প্রাপ্তির পর যে ভাবে ন্যায় প্রকল্প নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে গোটা দেশ তা নিয়ে যে খানিকটা অস্বস্তিতে বিজেপি তা বোঝাই যাচ্ছে। তাই তো অভিজিতের নোবেল প্রাপ্তির ঘোষণার বেশ অনেকটা সময় পরেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত খবর