ঘন্টা বাজানো, চা-জল দেওয়া আবার অঙ্ক ক্লাস নেওয়া: সবই করেন এই স্কুলের পিওন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পেশায় তিনি বিদ্যালয়ের পিওন। ঘন্টা দেওয়া, শিক্ষকদের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া তার কাজ। কিন্তু বিদ্যালয়ের ভেতরের এই চেনা ছবিটা বদলে দিয়েছেন হরিয়ানার কমল সিং। প্রায়শই তাকে দেখা যায় উঁচু ক্লাসের শ্রেনীকক্ষে। না পড়তে নয়, পড়াতে।

অবলীলায় তিনি পড়িয়ে চলেন পদার্থবিদ্যার কঠিন বিষয় থেকে শুরু করে, অঙ্ক পর্যন্ত। ঘটনাটি হরিয়ানায় অম্বালার কাছে মাজরি গ্রামের গভর্নমেন্ট সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের। স্কুলের পিওন কমল সিং সময় মেনে ঘণ্টা দেওয়া, শিক্ষকদের কাছে প্রয়োজনীয় ফাইল ও নথি পৌঁছনো, চা-জলের তদারকির পাশাপাশি নেন ক্লাসও।

board exam 2019 1200

কমল এক দিন স্কুলে গিয়ে দেখেন, বেশির ভাগ শিক্ষকই সে দিন স্কুলে আসেননি। এমনিতেই কমলের স্কুলে ৪০০ জন পড়ুয়ার জন্য রয়েছেন ১৯ জন শিক্ষক। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অঙ্কের শিক্ষক মাত্র এক জন! সে দিন তিনিও ছিলেন অনুপস্থিত। তাই ক্লাস ছিল বন্ধ। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি মেনে নিতে পারেন নি কমল।

সটান চলে যান স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে। জানান, নবম শ্রেণির ফিজিক্স ও অঙ্ক ক্লাস করাতে চান। প্রধান শিক্ষক জানতেন কমল পদার্থ বিদ্যায় স্নাতকোত্তর, তাই বাধা দেননি। কিন্তু নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা ‘কমল স্যর’-এর ক্লাস করে এতই খুশি হয় যে, এ বার তারাই প্রিন্সিপালের কাছে কমল সিংহের দিয়ে ক্লাস করানোর আবেদন জানায়।

ছাত্র ছাত্রীদের দাবি মেনেই কমলকে আবার সুযোগ দেন প্রিন্সিপাল। তবে এ বার দশম শ্রেণির ক্লাসে নিজে হাজির থাকেন তিনি। কমলের পড়ানোর দক্ষতা ও বিষয়ের প্রতি জ্ঞান দেখে অবাক হয়ে যান প্রিন্সিপাল। পরের দিন থেকেই আরও অন্যান্য ক্লাসের ভারও কমলের হাতে ছাড়তে থাকেন তিনি। তার পর থেকেই নিয়মিত ক্লাস নিতে দেখা যায় তাকে।


সম্পর্কিত খবর