বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনা নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জল গড়িয়েছে বঙ্গে। ভোটের আগে বিজেপি নেতাদের বড় অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকার এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে না। আর সেই কারণেই গোটা দেশ কিষান সম্মান নিধি সুবিধা পেলেও বাংলা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। ভোট মিটলে এই যোজনায় অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রত্যেক কৃষকের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। ১৮ হাজার না পেলেও গত ১৪ মে অষ্টম কীর্তির ২০০০ টাকা ইতিমধ্যেই নিজেদের অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন অনেক কৃষক। দেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা যখন সাড়ে নয় কোটি। বাংলার ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা মোটেই কম নয়। বাংলার প্রায় সাত লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন এই যোজনার দ্বারা। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে খরচ করা হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা। যা পৌঁছেছে সমস্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে।
নতুন করে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন কৃষকরাঃ
প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনার সুবিধা যেমন পেয়েছেন অনেকেই। তেমনি এখনো পর্যন্ত অনেক কৃষকের অ্যাকাউন্টেই পৌঁছায়নি এই সাহায্য। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন প্রায় ১৫ লক্ষ কৃষকের নাম খতিয়ে দেখে পাঠানো হয়েছে তালিকা। যার জেরে উপকৃত হয়েছেন সাত লক্ষ মানুষ। কিন্তু অনেকেই এখনো এই যোজনার জন্য নাম নথিভুক্তিকরণ করেননি। তাদের জন্য ফের একবার বড় সুযোগ নিয়ে এলো কেন্দ্র সরকার। আগামী ৩০ জুন অবধি আর একবার এই যোজনার জন্য নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ পাবেন তারা। এরপর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অ্যাপ্রুভাল পেলেই আপনার অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছাবে কেন্দ্র সরকারের সাহায্য।
পিএম কিষান যোজনার টাকা কখন কখন দেওয়া হয়ঃ
বার্ষিক তিনটি কিস্তিতে প্রধানমন্ত্রী তরফে এই টাকা দেওয়া হয় কৃষকদের জন্য। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখনো পর্যন্ত ১.১৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচা করেছে কেন্দ্র সরকার। যোজনার প্রথম কিস্তি দেওয়া হয় ৩১ মার্চ, দ্বিতীয় কিস্তি কৃষকরা পান ৩১ জুলাই এবং তৃতীয় কিস্তি দেওয়া হয় ৩০ নভেম্বর। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনই নাম নথিভুক্ত করলে মার্চের কিস্তির টাকাও জুলাইয়ের কিস্তির সঙ্গেই পাবেন কৃষকরা। অর্থাৎ তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৪০০০ টাকা।
কিভাবে করবেন নথিভুক্তিকরণঃ
এই যোজনায় নথিভুক্তকরণের জন্য আপনি সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমেই আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmkisan.gov.in এ রেজিস্টার করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে রয়েছে ফারমার্স কর্নার নামক একটি বিভাগ। এখানেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন কৃষকরা। তবে এর জন্য প্রয়োজন আধার কার্ড, জমির বিস্তারিত বিবরণ, জন্ম সংক্রান্ত পরিচয় পত্র ইত্যাদি। সরকারি কোন নোডাল অফিসার দ্বারা কমন সার্ভিস সেন্টারেও নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন কৃষকরা।