বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়তেই সবদলই তাঁদের নির্বাচনী সভা-সমাবেশে কাটছাঁট করেছে। শুরুতেই সংযুক্ত মোর্চার বামেদের তরফে বড় জমায়েতের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে হয়। একে একে তৃণমূল-কংগ্রেসও সেই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে। আর দেরি তে হলেও গেরুয়া শিবিরের তরফেও প্রায় একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাতিল করা হয় বিজেপির একাধিক কর্মসূচি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) কোনও সভায় শুরুতে বাতিল করা হয়নি। বরং রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মোদির জনসভা হয়ে উঠতে চলছিল ডিজিটাল।
দু’দিন আগেই জানানো হয় মোদির ২২ এবং ২৪ তারিখের পূর্ব নির্ধারিত জনসভা (Modi’s Campaign) গুলি একইসাথে হবে ২৩ তারিখ অর্থাৎ কাল শুক্রবার। ৫০০ জন শ্রোতা নিয়ে মালদহ, বহরমপুর, সিউড়ি ও কলকাতার মোদির জনসভা গুলি অধিষ্ঠিত হতে চলছিল। সেই মত আগামীকাল শহিদ মিনারের ময়দানে স্বল্প সময়ের জন্য মোদীর সভার সূচি ও পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছিল বিজেপি। সেই সম্প্রচার হতে চলছিল শহরের পাড়ায়-পাড়ায়, অলিতে-গলিতে, বাজারঘাটে। তার জন্য প্রায় তিনশোধিক এলইডি স্ক্রিন লাগানোর পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি (BJP) বলে খবর। ভার্চুয়ালী যেন সবাই মোদীর সভায় অংশ নেয় তার ব্যবস্থা করাই মূল লক্ষ্য ছিল গেরুয়া শিবিরের তরফে। আগামীকাল বিকেল ৪টে ৪৫ থেকে ৫টা ২৫ পর্যন্ত সেই সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল মোদির।
কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে করোনার বাড়বড়ন্তের কথা মাথায় নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মোদী। আগামীকাল বাংলার সব জন সভায় বাতিল করেন তিনি। জানানো হয়, শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদী।
নমোর দফতর সূত্রে খবর এই বৈঠকের কারণেই শহিদ মিনারে মোদির সভা বাতিল হচ্ছে। টুইট করে নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।