নাগাল্যান্ডে ২ সপ্তাহ ধরে খেতে পাচ্ছিল না বিহারের শ্রমিকরা, মোদী সরকার খবর পেতেই নিল একশন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাব আটকানোর জন্য দেশ জুড়ে জারী করা হয়েছিল লকডাউন অবস্থা। বন্ধ রয়েছে সমস্ত জনবহুল প্রতিষ্ঠান। যার ফলে বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। পাওয়া যাচ্ছে শুধু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। এই সময়ে সমস্যায় পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, যারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার কাজের সন্ধানে গিয়েছিল। এইভাবে বহুবার বহু শ্রমিকের (Workers) বিষয় সামনে এসেছে, এবং সরকার তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতেও সাহায্য করেছে। আবারও এই ধরণের ঘটনার সাক্ষী হল বিহার।

bihar 2

বিহারের পূর্ণিয়া এবং মধেপুরা জেলার শ্রমিকরা কাজের জন্য গিয়েছিল নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে। লকডাউনের জেরে তার কাজের জন্য সেখানে গিয়ে আটকে পড়ে। তারপর তারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে একটি সংবেদন মূলক ভিডিও পাঠান। এবং তাঁদের এই সংকটের মুহুর্তে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে নাগাল্যান্ডের দিমাপুরের প্রশাসনের তরফ থেকে এই আটকে পড়া বিহারের সমস্ত শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করে দেয়।

লকডাউনের ফলে কাজের জন্য নাগাল্যান্ডের দিমাপুরে আটকে পড়েছিলেন বহু শ্রমিক। যারা ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। লকডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাঁদের কাছে যেটুকু অর্থ ছিল তাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যায়। ফলে তারা খাদ্য সংকটে পড়ে। এই কারণে তারা একটি ভিডিও বানিয়ে তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে পাঠায়। সেখানে তারা তাঁদের দুঃখের কথা তুলে ধরে এবং সাহায্যের জন্য বলে।

bihar

শ্রমিকদের এই ভিডিও দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ তৎক্ষণাৎ নাগাল্যান্ডের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এবং প্রশাসনের সহাওতায় তাঁদের পাশে দাঁড়ান। শ্রমিকদের জন্য খাদ্য, পানীয় এবং থাকার ব্যবস্থা করেন। এরপর তারা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থাও করে দেন। প্রতিকূল এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ তাঁদের সাহায্য করার, শ্রমিকরা তাঁকে অনেক ধন্যবাদ দিয়েছেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর