বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আলিপুরদুয়ারে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সভা। এদিন সিটি গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করার পর জনসভা মঞ্চে পৌঁছন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) প্রথমে বক্তব্য রাখেন। এরপর বলতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। সভার শুরুতে বাংলায় বলেন, ‘নমস্কার, বড়রা আমার প্রণাম নেবেন ও ছোটরা ভালোবাসা’। এরপরে কিছু বক্তব্য রাখার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি।
মুর্শিদাবাদ-মালদার ঘটনা থেকে চাকরি বাতিল, একাধিক ইস্যুতে সরব মোদী (Narendra Modi)
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে রাজ্যের একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। মালদা-মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ‘মালদা-মুর্শিদাবাদে যা ঘটেছে, সেটা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রত্যেক বার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এভাবে কি কোনও সরকার চলতে পারে?’
তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের পাশাপাশি শাসকদলের নেতাদেরও এদিন আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, ‘তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির কারণে এখানকার শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। তবে এরা নিজেদের ভুল মানতে চান না। উল্টে আদালতকে আক্রমণ করছেন। অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। বিজেপি এমনটা হতে দেবে না’।
আরও পড়ুনঃ ছক্কা হাঁকাল জগদ্ধাত্রী-চিরসখা! পরশুরাম-পরিণীতার কী হাল? একনজরে ওলটপালট TRP তালিকা
বর্তমানে ২৬,০০০ চাকরি বাতিল ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। এদিন শিক্ষকদের অবস্থা নিয়েও কথা বলেন পিএম মোদী। তাঁর দাবি, তৃণমূল সরকার হাজার হাজার শিক্ষকের জীবন নষ্ট করেছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। কেন্দ্রের (Central Government) নানান প্রকল্প বাংলায় লাগু না হতে দেওয়া নিয়েও এদিন মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, ‘এখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হতে দেওয়া হয়নি। এখানকার লোকেরা বাইরে গেলে ওই স্কিমের সুবিধা পান না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীন পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষ বাড়ি পেতে পারতেন। তবে এখানে সেটা হতে দেওয়া হল না। এখানকার নির্মম সরকার এটা করতে দিল না’।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখার আগে এদিন তৃণমূল (TMC) সরকারকে একহাত নেন শুভেন্দু-সুকান্তও। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সরকারকে ছুঁড়ে ফেলার ডাক দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার চাই। নরেন্দ্র মোদীর সরকার। দেশের জন্য আজ বাংলাকে বাঁচাতে হবে। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে’, বলেন তিনি।
অন্যদিকে সুকান্ত বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের ঘটনার সঙ্গে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার মিল রয়েছে। আমাদের এই সরকারকে উৎখাত করতেই হবে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই এটা হবে’। শুভেন্দু-সুকান্তর পর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন পিএম মোদী (Narendra Modi)। তিনিও নানান ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন। মালদা-মুর্শিদাবাদের ঘটনা থেকে চাকরি বাতিল, একাধিক ঘটনায় তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী।