বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যাকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের দুঁদে নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিপরীতে গেরুয়া শিবিরের বাজি রানিমা অমৃতা রায়। গত রবিবার কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। এবার ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
মঙ্গলবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন মোদী। এবার রানিমা অমৃতার (Rani Maa Amrita Roy) কাছে এল তাঁর ফোন। দু’জনের কথোপকথনে উঠে আসে মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) প্রসঙ্গও। তৃণমূল প্রার্থীকে জেলে যেতে হবে শুনে খানিক হেসেও ফেলেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী এদিন কৃষ্ণনগরের প্রার্থীকে বলেন, ‘ইদানীং লড়াইটা দু’টো শিবিরের মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে আমরা যাঁরা দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চাইছি তাঁরা আছি। অন্যদিকে দুর্নীতিপরায়ণদের বাঁচাতে একজোট হয়েছে দ্বিতীয় শিবির। তাঁরা একে অপরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ওই শিবিরের কাছে দেশ নয়, বরং ক্ষমতা লাভ করাটাই প্রধান লক্ষ্য। সেই কারণে এই নির্বাচনে আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে’।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে বিরাট ধাক্কা! BJP-তে যোগ দিচ্ছেন শাসক দলের এই সাংসদ! শোরগোল রাজ্যে
উনিশের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এবারও টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি (TMC)। প্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে মহুয়ার সাংসদ পদ আগেই খারিজ হয়েছে। লোকপালের নির্দেশে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে সিবিআই। তদন্ত, তল্লাশি দুই-ই শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের সময় প্রতিপক্ষ মহুয়ার প্রসঙ্গে রানিমা অমৃতা বলেন, ‘লোকজনকে আমি জিজ্ঞেস করছি, মহুয়া মৈত্রের কী হবে? ওঁরা বলছে যে মহুয়াকে জেলে যেতে হবে’। কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর মুখে একথা শুনে প্রধানমন্ত্রী খানিক হেসে বলেন, ‘আচ্ছা, লোকে এমন বলছে?’ অমৃতা জানান, হ্যাঁ।
কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর সঙ্গে এদিন ফোনে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলা থেকে ইডি যে ৩০০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে, সেটা ফের বাংলার গরিব মানুষদের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়ায় শুরু করেছেন বলে জানান তিনি। এই কথাটি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করার কথাও বলেন মোদী।