ভারতের প্রথম সি-প্লেনের পরিষেবা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন এর বিশেষত্ব

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) লৌহ পুরুষ সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের জয়ন্তীতে কেবড়িয়া-সাবরমতি রিভারক্র্যাফট সি-প্লেন পরিষেবার (Kevadia Sabarmati Seaplane Service) শুভারম্ভ করলেন আজ। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই সি-প্লেনের মাধ্যমে কেবড়িয়া থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত সফর করেন।

জানিয়ে দিই, এটিই ভারতের প্রথম সি-প্লেন পরিষেবা। এটি আহমেদাবাদের সাবরমতি রিভারক্র্যাফটকে নর্মদা জেলার কেবডিয়ায় স্ট্যাচু অফ ইউনিটির সাথে যুক্ত করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে সি-প্লেনের মাধ্যমে সামরমতি নদী থেকে মেহসানা জেলা পর্যন্ত সফর করেছিলেন।

এই সি-প্লেনের বিশেষত হল, এটি জল আর মাটি দুই জায়গা থেকেই আকাশে উড়ে যেতে পারবে। এর সাথে সাথে এটিকে জল আর মাটি দুই জায়গাতেই ল্যান্ড করানো সম্ভব হবে। সি-প্লেনের টেকঅফের জন্য ৩০০ মিটারের রানওয়ের দরকার আর এটি যেকোনও জলাশয়কে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে টেকঅফ করতে পারবে। সি-প্লেনে একসাথে ১৯ জন যাত্রী সফর করতে পারবেন।

আজ সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিনের অবসরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সন্ত্রাসবাদের সমর্থন করা মানুষদের একহাতে নেন। উল্লখ্য, ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অবসরে গুজরাটের কেবড়িয়ায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘যেভাবে মানুষ সরাসরি সন্ত্রাসবাদের সমর্থন করছে, সেটি আজ গোটা বিশ্বের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।” উনি সরাসরি ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা উল্লেখ করেন নি, কিন্তু নিজের কথাতে তিনি সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের একহাতে নিয়েছেন।

নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আজ এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের প্রতিটি দেশ, প্রতিটি সরকার, সমস্ত আদর্শের মানুষ গুলোকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়া উচিৎ। শান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ আর পরস্পরের প্রতি আদরের মনোভাবই আসল পরিচয়। সন্ত্রাসবাদ আর হিংসা দিয়ে কখনো কারোর কল্যাণ হয়নি।

জানিয়ে দিই, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দিনের গুজরাট সফরে আছেন। সেখানে তিনি স্ট্যাচু অফ ইউনিটিতে পৌঁছে দেশের সর্বপ্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এরপর তিনি রাষ্ট্রীয় একটা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একটি প্যারেডে অংশ নেন।

তিনি বলেন, আজ ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকানো মানুষদের মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য সক্ষম আমাদের জওয়ানরা। আমাদের সীমান্তে এখন শয়ে শয়ে কিমি দীর্ঘ রাস্তা তৈরি হচ্ছে, একের পর এক ব্রিজ হচ্ছে, অনেক টানেল তৈরি হচ্ছে। নিজেদের অখণ্ডতা আর সন্মানের রক্ষার জন্য ভারতের ভূমি প্রস্তুত।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর