‘TMC মানে তু-ম্যায় অউর কোরাপশান’, কৃষ্ণনগর থেকে শাসকদলের নতুন নাম দিলেন নরেন্দ্র মোদী

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরামবাগের (Arambagh) পর কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিষাদগার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে (Trinamool Congress) একের পর এক তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। নমোর কথায়, ‘টিএমসি বাংলার মানুষের সঙ্গে অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তৃণমূল মানে বিশ্বাসঘাতকতা ও পরিবারতন্ত্র’।

আরামবাগের পর কৃষ্ণনগরের জনসভাতেও মোদীর মুখে উঠে এল সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তৃণমূল যে মা, মাটি, মানুষের কথা বলে ভোট পেয়েছেন সেই মা, মাটি, মানুষ এখন বিচার চেয়ে চেয়ে কাঁদছে। সন্দেশখালির মানুষজন অভিযোগ জানিয়ে হাঁপিয়ে গেলেও সরকার তাদের কথার গুরুত্ব দেননি। নমোর কথায়, ‘এই রাজ্যে পুলিশ নয়, অপরাধী ঠিক করে, কখন গ্রেফতার হবে।’

যদিও এখানেই থেমে থাকলেননা তিনি। তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন,’তৃণমূল সরকার সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে। কিন্তু বাংলার বিকাশ হলেই দেশের বিকাশ হবে। কিন্তু তার জন্য ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে হবে। এখন তৃণমূলের অর্থ হল ‘তু, ম্যায় অউর করাপশন’।

আরও পড়ুন : সারদা-রাসমণি অতীত, এবার মা দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা! জেলাশাসকের বক্তব্যে শোরগোল রাজ্যে

ভুয়ো জবকার্ড থেকে শুরু করে বাংলার মাটিতে হওয়া একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। নমোর কথায়, বাংলার মানুষ তৃণমূল সরকারের কাজে হতাশ। যারা এই সরকারকে ভালোবেসে ক্ষমতায় এনেছিল আজ তারাই ব্রাত্য। কোনও রাখঢাক না রেখেই মোদী বললেন, ‘বিজেপির কেন্দ্র সরকার বাংলার ৬ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে। আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। অথচ তৃণমূল এতে নিজের স্টিকার লাগায়। গরিবের রেশন লুঠতেও পিছপা হয়না।’

আরও পড়ুন : প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি, বাংলা থেকে ২০ জনের নাম ঘোষণা! লিস্টে চরম চমক

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দু’দিনে বাংলার উন্নয়নের জন্য মোট ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার মধ্যে রয়েছে রেল এবং পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে সংযুক্ত বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্প। স্বাভাবিকভাবেই মোদীর বাংলা সফরের পর সাহস বেড়েছে বঙ্গবিজেপির কর্মীদের মধ্যেও। এককথায় মোদীর অক্সিজেন এনেছে পদ্ম শিবিরে।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর