প্রেমের টানে ভিটেমাটি ছেড়ে পোল্যান্ড থেকে এলেন ভারত! এই কাহিনী হার মানাবে রোমিও জুলিয়েটকেও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রেমের বন্ধনের সেতু ছিল ইনস্টাগ্রাম (Instagram)। সুদূর থেকে প্রেয়সীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেই (Social Media) চলত প্রেমালাপ। সুদূর পোল্যান্ড (Poland) থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মারফতেই চলচ প্রেমালাপ। প্রেমের টান আটকাতে পারেনি পথের দূরত্ব। নিজের মেয়েকে নিয়ে পোল্যান্ড থেকে ভারতে (India) আসেন প্রেমের খোঁজে। শোনা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই নাকি বিয়েও করতে চলেছেন দুজনে।

কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের সীমা ও উত্তর প্রদেশের শচীনের প্রেম কাহিনী এখন সকলের মুখে মুখে। তালমধ্যেই পোল্যান্ডের এই তরুণী এবং ঝাড়খন্ডের এক যুবকের প্রেমের গল্প চর্চায় চলে এসেছে। উল্লেখ্য, মেয়েটি আসলে ইউরোপের পোল্যান্ডের বাসিন্দা। এদিকে যুবক শাদাব আলম কাটাকামসান্দি ব্লকের ছাদওয়া বাঁধে অবস্থিত বড়তুয়া গ্রামের বাসিন্দা৷

এর আগে ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তাদের পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যেকার প্রেম এতটাই গাঢ় হয়ে ওঠে যে বারবারা তার দেশ ছেড়ে সোজা চলে আসে ভারতে। সাথে নিয়ে আসেন ছয় বছরের মেয়ে অনন্যাকেও। বর্তমানে বারবারা পোলক তার প্রেমিকের সাথে বড়তুয়া গ্রামে বসবাস করছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গাঁটছড়া বাঁধবেন দুজনেই।

এখন শাদাব আলমের গ্রামে চলছে বিয়ের প্রস্তুতি। বিয়ের আগে শাদাব বারবারা পোলক ও তার মেয়েকে নিজের নাম দিয়েছিলেন। বারবারার মেয়ে এখন থেকেই শাদাবকে বাবা বলে ডাকে। বারবারা কথায়, ভারত ও হাজারীবাগ আমার তার ভালো লেগেছে।

hazaribagh news

বারবারা পোলক বলেন, ‘আমি যখন হাজারীবাগে পৌছালাম, অনেক লোক আমাকে দেখতে এসেছিল। ব্যাপারটা সেলিব্রেটির মতো মনে হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিজের বাড়ি আছে, গাড়ি আছে। সেখানে আমার সবকিছু আছে এবং চাকরিও আছে। আমি পোল্যান্ড থেকে এসেছি, আমি শুধু শাদাব আলমের জন্য ভারত ও হাজারীবাগে এসেছি। শাদাবের সাথে দেখা করে আমি খুব খুশি। খুব শিগগিরই আমরা একসঙ্গে হতে যাচ্ছি।’

ad

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর