বাংলা হান্ট ডেস্ক : কাতারে কাতারে মানুষ লেবুতলা পার্কমুখী। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের (Santosh Mitra Square) রামমন্দির (Ram Mandir) দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন গোটা কলকাতার (Kolkata) মানুষ। তবে গত সপ্তমীর রাতে তো বাঁধ ভাঙার মত অবস্থা। এইদিন ভিড় সামলাতে তো হিমশিম খেতে হল পুলিশকেও। আসলর আগেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে লেবুতলা পার্কের অযোধ্যার রামলালার রাম। এই থিমের উদ্যোক্তা হলেন ক্লাব সম্পাদক বিজেপি নেতা সজল ঘোষ (Sajal Ghosh) । তবে এবার ঘটে গেল বড় দূর্ঘটনা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃতীয়ার পর থেকে রোজই সন্তোষ মিত্র পার্কে বাঁধভাঙা ভিড়। কলকাতা পুলিশেরও Q line জানাচ্ছে পঞ্চমী, ষষ্ঠীকে ছাপিয়ে গিয়েছে সপ্তমীর ভিড়। আর এবার সেই ভিড়ের চাপে নাকি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দিল কলকাতা পুলিশ। এইদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রধান কর্মকর্তা তথা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এমনটাই অভিযোগ করলেন।
সজল মিত্র এইদিন ক্ষোভ উগরে বললেন, পুজো কমিটির সঙ্গে কোনও আলোচনা না বলেই বিকেল থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সমস্ত গেট বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের মণ্ডপে কোনও দর্শককেই নাকি ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ৷ তিনি সবাইকে কলকাতা পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদ জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। মণ্ডপ নিষ্প্রদীপ করে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সজল ঘোষ।
আরও পড়ুন : পুজো দিলে প্রসাদ হিসেবে পাবেন সোনা-রুপো! ভারতেই রয়েছে এই আশ্চর্য মন্দির, খোলা থাকে মাত্র ৫ দিন
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল রাতেও সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। গতকাল বিকেল থেকেই বন্ধ ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের প্রবেশপথ। যে কারণে বহু মানুষই রামমন্দির দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান। এবার বিষয়টা নিয়ে গর্জে উঠেছেন সজল ঘোষ। রীতিমত হুমকি দেওয়ার মত করেই তিনি বলেন, ‘আমাদের উপরে চিরাচরিত যে অত্যাচার হত, তা আবার শুরু হয়ে গিয়েছে৷ পাঁচটা বাজতেই রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে৷’
আরও পড়ুন : এ কী কাণ্ড! হাতে ত্রিশূল, কপালে ত্রিনয়ন, মা দুর্গার সাজে কী করছেন সৌমিতৃষা?
বিজেপি নেতা হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘ভিড় বাড়লে রাস্তা বন্ধ করুক, কিন্তু আমাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেনি৷ আমরাও পুলিশের সঙ্গে কথা বলব না৷ এলাকার বাসিন্দাদের সবার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের মণ্ডপ নিষ্প্রদীপ করে দেব৷’ বিজেপি নেতা আরও অভিযোগ করেন, কলকাতা পুলিশ এই বিষয়টা বহুদিন ধরেই করে আসছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিন্তু অন্য কোনও পুজোর ক্ষেত্রে এটা করেননা। তাই প্রতিবাদস্বরূপ মণ্ডপ নিষ্প্রদীপ করার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন তিনি।