বাংলা হান্ট ডেস্ক : কয়েক দিন ধরে যে ভাবে লাগাতার হারে দিল্লির দূষণের মাত্রা বাড়ছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পরিবেশবিদদের কপালে৷ গোটা রাজধানী শহর এখন ধোঁয়াশায় ঢেকে গিয়েছে আর তাতে শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক আনুসঙ্গিক সমস্যার শিকার হচ্ছেন দিল্লিবাসীর৷ তবে হিসেবের নিরিখে দেখা গিয়েছে দিল্লির দূষণের থেকে ভারতের হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরের দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি৷
তবে দিল্লির থেকেও এগিয়ে গেল বর্ধমান এবং আসানসোল, পশ্চিমবঙ্গের এই দুটি জেলায় গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের রাজধানীর দূষণের মাত্রাও ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ বুধবারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এই দিনের দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি, তবে অন্য দিকে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের দূষণ মাত্রা আশ্চর্যজনকভাবে অনেকটাই ভাল৷
যেহেতু বেশ কয়েক দিন ধরেই দূষণের মাত্রা বাড়ছে তাই দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং জেলাগুলিতে দূষণকে মাপা হচ্ছে আর এ ভাবেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মাপকাঠিতে বুধবার বিকেল তিনটে অবধি পূর্ব বর্ধমানের আসানসোলে গড় দূষণের মাত্রা ছিল 314 এবং অন্য দিকে দিল্লির আনন্দ বিহারের গড় দূষণের মাত্রা ছিল 265, তার হিসেবের নিরিখে দেখা গিয়েছে দিল্লির দূষণের মাত্রাকে ছাড়িয়ে দিয়ে গেছে আসানসোল৷
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে আসানসোলের বায়ুতে বনের মাত্রাও মাপা হয়েছিল যেখানে দেখা গিয়েছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মন ছিল 78,48৷ অন্য দিকে দিল্লিতে 46, 22৷ আবার নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের মাত্রা দিল্লিতে ছিল বেশি এবং আসানসোলে কম৷ কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পাশাপাশি এ দিন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী বুধবার আসানসোলে বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল 339৷ যেখানে দুর্গাপুরের মাত্রা 19৷
তাহলে দেখা যাচ্ছে শিল্পাঞ্চল হলেও দুর্গাপুরের বাতাস অনেকটাই শুদ্ধ৷ শুধুমাত্র সরকারি নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের হিসেব অনুযায়ী নয় বেসরকারি বেশ কয়েকটি সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে দূষণের নিরিখে বর্ধমান ও আসানসোলের মাত্রা অনেকটাই বেশি৷ তাই যেভাবে দূষণ বাড়ছে তাদের পরিবেশকে বাঁচাতে হলে মানুষকেই সচেতন থাকতে হবে এমনটাই মত প্রকাশ করেছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যার বিভাগীয় প্রধান নবকুমার মণ্ডল৷ দূষণের বেশির ভাগটাই যে কারখানা এবং জ্বালানি থেকে আসছে তা একেবারেই নিশ্চিত৷