খেল দেখাচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান! চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে রেকর্ড করল এই বিস্ময়কর ঘটনা, জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই চাঁদের পৃষ্ঠে নিজের কাজ পুরোদমে শুরু করেছে রোভার প্রজ্ঞান (Pragyan)। পাশাপাশি, তার কাজের বিভিন্ন আপডেটও পাঠাতে থাকছে সে। যেগুলি ISRO (Indian Space Research Organisation) টুইটের মাধ্যমে সামনে আনছে। এমতাবস্থায়, গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে যে, চন্দ্রপৃষ্ঠে চলমান রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা রেকর্ড করেছে। তবে, এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা বলে মনে করা হলেও ISRO এই ঘটনার উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

মূলত, রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে একটি বিশেষ কম্পন রেকর্ড করেছে। ISRO টুইট করে এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, ইন সিচুয়েশন সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্টের অধীনে, চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডারে বসানো ILSA (ইন্সট্রুমেন্ট অফ লুনার সিসমিক অ্যাক্টিভিটি) পেলোড মাইক্রো ইলেক্ট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম প্রযুক্তিতে সজ্জিত রয়েছে।

প্রথমবারের মতো চাঁদে এই ধরণের যন্ত্র পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, রোভার প্রজ্ঞান এবং অন্যান্য পেলোডের গতিবিধি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে, গত ২৬ অগাস্ট ২০২৩-এ একটি ঘটনাও রেকর্ড করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, এই ঘটনাটি এখন স্বাভাবিক বলে মনে হলেও তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর এল বড় তথ্য! ভারতে এইভাবে তৈরি হয়েছে ৪৫,০০০ কর্মসংস্থান, কি জানাল ISRO?

এদিকে, ISRO জানিয়েছে যে রোভার প্রজ্ঞান এবং চাঁদে অন্যান্য পেলোডের চলাচলের সময়ে ILSA পেলোড একটি কম্পন রেকর্ড করেছে। মূলত, ILSA ছয়টি হাই-সেন্সিটিভিটি অ্যাক্সিলোমিটার দিয়ে সজ্জিত রয়েছে। এই অ্যাক্সিলোমিটারগুলি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘটতে থাকা কম্পন পরিমাপ করেছে। ILSA পেলোডটি বেঙ্গালুরুর ল্যাবরেটরি ফর ইলেক্ট্রো-অপটিক্স সিস্টেম দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলিও এতে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি, বেঙ্গালুরুর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে চাঁদে ILSA ডিল্পয় করার প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বসে নেই ISRO! চন্দ্রযান-৩-এর পর এবার মহাকাশে যাবে মহিলা রোবট, কোন মাসে সম্পন্ন হবে ট্রায়াল?

সালফারের নিশ্চিত উপস্থিতি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে গত মঙ্গলবার রোভার প্রজ্ঞান চাঁদে সালফারের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। রোভারের লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপ যন্ত্রটি চন্দ্রপৃষ্ঠে সালফারের উপস্থিতির বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ করে। পাশাপাশি, চাঁদে আরও অনেক প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া গেছে। তবে, এখন চাঁদে হাইড্রোজেনের উপস্থিতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর