বাংলাহান্ট ডেস্ক: বৈশাখ শুরু। মলমাস পেরিয়ে নতুন করে বিয়ের শুভ তিথি, লগ্ন আসছে। আর এই প্যাঁচপ্যাঁচে গরমের মধ্যেই এল অভিনেতা প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Prantik Banerjee) ও অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তীর (Ankita Chakraborty) বিয়ের খবর। তবে কলকাতার কোলাহল থেকে অনেক দূরে সিকিমের গ্রামে চার হাত এক হয়েছে দুজনের।
টলিপাড়ার অত্যন্ত পরিচিত দুই অভিনেতা অভিনেত্রী প্রান্তিক অঙ্কিতা। তাঁদের সম্পর্কটাও চাপা ছিল না কারোর কাছেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই যুগলে ছবি শেয়ার করতেন তাঁরা। অবশেষে প্রেমপর্ব সেরে বিয়ের পিঁড়ি। তবে এখানেও রয়েছে আরেকটা চমক। বিয়েটা কিন্তু এই বৈশাখে নয়, তিন মাস আগে জানুয়ারিতেই সেরে নিয়েছেন প্রান্তিক অঙ্কিতা!
আরে দাঁড়ান দাঁড়ান! চমকের তো সবে শুরু। জানা যাচ্ছে, সিকিমের এক পাহাড়ি গ্রামে নাকি বসেছিল দুজনের বিয়ের আসর। জুটির বন্ধুবান্ধবরা সাক্ষী ছিলেন সেই বিয়ের। না, বর কনের পরিবারের সদস্যরাও জানতেন না এই বিয়ের ব্যাপারে। আসলে পরিবারের দেওয়া রীতি নীতি মেনে বিয়ে করতে চাননি প্রান্তিক অঙ্কিতা। তাই হাত ধরে ছুট!
সত্যিই বিয়েতে তেমন কোনো রীতি নীতি মানেননি অঙ্কিতা প্রান্তিক। প্রথা ভেঙে লাল বেনারসী, ধুতি পাঞ্জাবি নয়। বরং সাদা পোশাকে সেজে উঠেছিলেন বর কনে। শুধু মাথায় লাল চেলি পরেছিলেন অঙ্কিতা। কোনো মন্ত্রোচ্চারণ হয়নি, এমনকি রেজিস্ট্রিও করেননি। শুধু অঙ্কিতার সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক। নিজেও কপালে লাগিয়েছেন সিঁদুরের তিলক।
বিয়ের পর থেকে নাকি এক ছাদের তলায়ও থাকছেন না প্রান্তিক অঙ্কিতা। আসলে বিয়ের পর যে স্বামী স্ত্রীকে একসঙ্গে থাকতে হবে এমন নিয়মে বিশ্বাসী নন তাঁরা। পাশাপাশি দুটি ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁরা। অঙ্কিতার কথায়, বিয়ে হলে একসঙ্গে থাকতে হবে, সিঁদুর পরতে হবে একথায় তিনি বিশ্বাসী নন। ইচ্ছা হলে পরবেন সিঁদুর, নয়তো নয়।
দীর্ঘ দশ বছরের বন্ধুত্ব প্রান্তিক অঙ্কিতার। কিন্তু সম্পর্ক শুরু হয় গত বছরের এপ্রিলে। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন অঙ্কিতাই। ভিকি ক্যাটরিনার বিয়ে নিয়ে আলোচনা করতে করতেই নাকি অভিনেত্রী বলে ওঠেন, বিয়েটা করতেই পারেন তিনি।
শুনেই পরিকল্পনা ঠিক করে নেন প্রান্তিক। বেশ কিছুদিন ছুটি ছিল তাঁর। যেমন ভাবা তেমন কাজ। অঙ্কিতা হ্যাঁ বলতেই সোজা সিকিম। তারপর বিয়ে। সিনেমার গল্পের থেকে কম কিছু নয়!