বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তীর (Prantik-Rajnaya) দলবদল নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। ফুল বদলের কথা প্রায় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছিল। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, এমন খবরেই শুরু হয় জল্পনা। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় ভাগে এসেই সেই জল্পনায় বড় ছেদ। সূত্রের খবর, আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে রাজন্যা-প্রান্তিকের দলবদল।
সকালে বিজেপি যোগের জল্পনা
সোমবার সকাল থেকেই সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়ায়, রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তী (Prantik-Rajnaya) বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। সেই জল্পনা আরও উসকে দেয় রাজন্যার একটি ইঙ্গিতপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। স্বামী বিবেকানন্দের ছবিতে মালা চড়ানো একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন”আমার বাংলা রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্র ধার চাই।” ক্যাপশনের নীচে ছিল, “Let’s Change”। এই পোস্টের পরই রাজনৈতিক মহলে দলবদল নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়।
বিকেল গড়াতেই ভাবনা স্থগিত রাজন্যা-প্রান্তিকের (Prantik-Rajnaya)
তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি বদলে যায়। সূত্রের খবর, সোমবার রাজন্যা-প্রান্তিকের (Prantik-Rajnaya) বিজেপিতে যোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই মুহূর্তে সংসদের অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন। দলীয় সূত্রের দাবি, শমীক ভট্টাচার্য বাংলায় ফিরে এসেই পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই অনিশ্চয়তার মাঝেই রাজনৈতিক মহলে আরও একটি খবর ঘোরাফেরা শুরু করে। শোনা যায়, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তীর (Prantik-Rajnaya) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে সরাসরি মুখ খুলতে চাননি রাজন্যা বা প্রান্তিক, কেউই। এই পরিস্থিতির মাঝেই কটাক্ষ করেছেন বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি ভিডিয়ো বার্তায় নাম না করে তিনি বলেন, “সকাল থেকেই শুনছিলাম, ইনি জয়েন করবেন, তৃণমূলের অমুক নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যাচ্ছেন। শেষে যা বোঝা যাচ্ছে, আসলে লগ্নভ্রষ্ট দলবদল হতে চলেছে।”
সায়ন আরও বলেন, বিজেপি ও তৃণমূল মিলিয়ে বাংলার রাজনীতিকে এখন “মজার জায়গায়” নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “যে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি এত কথা বলে, সেই দলের নাম জড়ানো নেতাকে বিজেপিতে আনার চেষ্টা হচ্ছে। আবার শোনা যাচ্ছে, দিল্লিতে একজন নেতা আটকে রয়েছেন, তিনি ফিরলে সব হবে! সাত মন তেল পুড়ল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না।”

আরও পড়ুনঃ ভোটের আগেই শেষ করতে হবে সব কাজ! উন্নয়নেই জোর নবান্নের, জেলাগুলিকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পটভূমিতে একটি শর্ট ফিল্ম নির্মাণের কারণে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন থেকে রাজন্যা হালদার ও প্রান্তিক চক্রবর্তীকে (Prantik-Rajnaya) সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই শাসকদলের অন্দরমহলে প্রশ্ন উঠেছিল। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে রাজন্যা হালদারের বক্তৃতা ও স্লোগানে নজর কেড়েছিলেন তিনি। তাতে প্রশংসার পাশাপাশি দলের অন্দরেই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। অনেকের মত ছিল, রাজনীতির অভিজ্ঞতা ছাড়াই অতিরিক্ত প্রচারের আলোয় উঠে আসছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজন্যা, আর সেই সব ঘটনার পাশে থেকেছেন প্রান্তিক চক্রবর্তীও।












