আর বহিরাগত বলতে পারবে না বিজেপি, ভবানীপুরের ভোটার হয়ে গেলেন প্রশান্ত কিশোর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে সবথেকে বড় ইস্যু ছিল বাঙালী আর বহিরাগত। একদিকে তৃনমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দিয়ে বাংলা থেকে দূরে সরাতে তৎপর হয়েছিলেন, অন্যদিকে বিজেপি আবার নিজেদের ভূমিপুত্র প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এও বলেছিলেন যে, বাংলায় বিজেপি জয়ী হলে কোনও ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।

তবে, বাঙালী আর বহিরাগত ইস্যুতে জয়ী হয় তৃণমূল। বাংলায় অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে মমতা যখন বিজেপিকে বহিরাগত তকমা লাগিয়ে বাংলা থেকে হটাতে তৎপর হয়েছিলেন, তখন অন্যদিকে তৃণমূলই আবার তাঁদের ভোটে জেতানোর দায়িত্ব দিয়েছিল এক বহিরাগতকে।

হ্যাঁ, প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) কথাই বলছি। কয়েকশ কোটি টাকার চুক্তিতে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে বাংলা জয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। আর বিজেপি এই নিয়ে সরবও হয়েছিল। তাঁদের দাবি ছিল, বহিরাগত বলে বাঙালী আবেগকে খুঁচিয়ে দেওয়া তৃণমূল নিজেরাই বহিরাগতের কাঁধে ভর করে বৈতরণী পার করতে চাইছে।

বিজেপি সেই সময় প্রশান্ত কিশোরকে বহিরাগত বলে তোপ দেগেছিল। তবে এবার তাঁরা আর পিকে-কে বহিরাগত বলতে পারবে না। কারণ পিকে এখন বাংলারই মানুষ। হ্যাঁ! ঠিক শুনেছেন, প্রশান্ত কিশোর এখন বাংলার মানুষ ভবানীপুরের ভোটারও সে।

সম্প্রতি ইলেকশন কমিশনের সাইটে ভবানীপুরের ভোটার হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের নাম দেখা গিয়েছে। ভবানীপুরের হেলেন স্কুলে ভোট দিতে পারবেন প্রশান্ত কিশোর। ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ৯৫০ নম্বরে রয়েছে। এই তালিকা সামনে আসার পর চারিদিকে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের বয়স আর ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের বয়সও এক। তাই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দু’জনই একই ব্যক্তি। তবে পিকের নাম ভোটার তালিকায় কবে উঠেছে সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। কিন্তু এর থেকে এটা এখন স্পষ্ট যে, প্রশান্ত কিশোর এখন বাংলারই ছেলে হয়ে গেলেন।

 

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর