বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিরোধী জোট নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। গত ২৩ জুন পাটনায় অনুষ্ঠিত হয় জোটের বৈঠক। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) থেকে উদ্ধব ঠাকরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে স্ট্যালিন, কে ছিলেন না সেই বৈঠকে? কিন্তু অদ্ভুত ভাবে নিস্পৃহ দেখা যায় প্রশান্ত কিশোরকে (Prashanta Kishor)। হঠাৎই, এদিন তিনি নিশানা করে বসলেন বিরোধী জোটের এই বৈঠককে।
অনেক আয়োজনের পরেও মাসের প্রথমের দিকে পটনায় বিরোধী ঐক্য নিয়ে যে সভা হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল হয়ে যায়। এরপর ২৩ জুন বিরোধী ঐক্যের সভা অনুষ্ঠিত হয়।। সেই সভা সফল করতে চেষ্টা চালিয়ে যান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। এরপরই এই বৈঠক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন, তাঁর একসময়ের সহযোগী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)।
পিকে বলেন, ‘নিজের ঘর সামলাতে পারছে না, এদিকে গোটা দুনিয়া ঘুরছে’। তবে এই কথা বলার সময় কারোর নাম উল্লেখ করেন নি তিনি। অনেকেই মনে করছেন পিকের এই কটাক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই। একের পর এক দুর্নীতি প্রসঙ্গে জেরবার তৃণমূল সরকার। এরই মধ্যে বিরোধী জোটে অংশ নেওয়া দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি পিকের।
এরই প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর তুলে এনেছেন ১৯৭৭ সালের নির্বাচনের কথা। সেবার বিরোধী জোট হারিয়ে দেয় ইন্দিরা-মুজিব গান্ধীকে। তবে পিকের মতে এই সময় কংগ্রের হেরে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ ছিল জরুরি অবস্থা জারি। শুধু তাই নয়, ইন্দিরার সামনে মুখ হিসাবে ছিলেন মোরারজি দেশাই। কিন্তু এখানে মোদির বিরুদ্ধ কোনও মুখ তুলে আনতে পারে নি বিরোধীরা।
এদিকে, নরেন্দ্র মোদির উল্টোদিকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবে? জোটের মুখ নিয়ে দ্বন্দ্বে জোট গড়ার রাস্তাই ভেস্তে যাবে বলে আশায় রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের তাবড় নেতারা। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন, ‘বিরোধী নেতারা আসলে ফটোসেশনের জন্য এই বৈঠক করেছেন।’
তবে বিরোধী শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, এই মুহূর্তে কোনও একটি নির্দিষ্ট মুখ বা কোনও একজন নির্দিষ্ট নেতা না-থাকাটাই তাদের দলগত শক্তির উত্স। এটাই বরং টিম গেমকে জোরদার করবে৷ পাটনার বৈঠকে উপস্থিত সিপিআই(এমএল) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য শনিবার বলেন, ‘মুখের রাজনীতি আমদানি করেছে বিজেপি, বিরোধীরা নয়৷ সব ভোটেই ওরা প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখিয়ে লড়াই করে৷ বিজেপির এই মুখ- সর্বস্ব রাজনীতি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করছে। হিমাচল, কর্নাটকেই তার প্রমাণ দিয়েছে৷’