বাংলাহান্ট ডেস্কঃ যে পেশার সঙ্গে যুক্ত আছে, সবার আগে সেই পেশাকেই এই সংকটের দিনে প্রাধান্য দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স (Nurse) থেকে শুরু করে হাসপাতালকর্মীরা। কেউ হারিয়েছেন কাছের মানুষ, কেউ বা হারিয়েছে নিজের পিতা মাতা- সৎকার সেরেই, সময় নষ্ট না করে আবারও গায়ে তুলে নিয়েছেন পিপিই কিট, ফিরেছেন নিজের কাজের জগতে রোগীদের সেবা করতে।
করোনা কালে এই সংকটের দিনে এরকম অনেক দৃশ্য দেখা গিয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়েই। বাদ যায়নি ভারতেও। গতবছরের মর্মান্তিক স্মৃতি আবারও উসকে উঠেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। হাসপাতালের বেড থেকে শুরু করে অক্সিজেন সিলিন্ডার- বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে নানা রকম সংকট।
এই সংকটের দিনেও ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও সমান তালে রোগীদের সেবা করে চলেছেন গুজরাটের সুরাট শহরের বাসিন্দা নার্স ন্যান্সি আয়েজা মিস্ত্রি। শুধু তাই নয়, এই ধর্মপ্রাণ তরুণী পবিত্র রমজানের মাসে আবার রোজাও রেখেছেন। সবকিছু মিলিয়ে এই সংকটের পরিস্থিতিতেও সে নিজের কাজকে ভুলে যায়নি, সবার আগে প্রধান্য দিয়েছন নিজের কাজকে।
গতবছর নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এই নার্স। তবে এবছর তাঁর এই শারীরিক অবস্থা থাকা সত্ত্বেও, ভয় না পেয়ে হাসিমুখে আট থেকে দশ ঘণ্টা ধরে করোনা রোগীদের সেবা করে চলেছেন। তিনি জানান, ‘একটি শিশু রয়েছে আমার গর্ভে। তবে আমার কাছে আমার দায়িত্বও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই পবিত্র রমজান মাসে আমি রোগীদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি বলে, আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাব’।