বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাথার উপর এক চিলতে ছাদ নষ্ট হয়ে গেছে প্রকৃতির তাণ্ডবে। খরের চালের মাটির বাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে তুমুল বৃষ্টিতে। তাই এই বৃদ্ধার এখন ভরসা শৌচালয়। গত এক বছর ধরে অপরিষ্কার ৪ ফুট বাই ৩ ফুটের শৌচালয়ে দিন কাটাচ্ছেন এই বৃদ্ধা। অভিযোগ প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।
পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শুধু দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিক। এই বৃদ্ধার অসহায়তার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এখন চাপানউতোর শুরু হয়েছে পুরুলিয়ার প্রশাসনিক স্তরে। ৬৬ বছর বয়সি মিথিলা মাহাতোর বাস পুরুলিয়া ১ নম্বর ব্লকের ডুঁড়কু গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দ্রাডি গ্রামে। দুই মেয়ে রয়েছে এই বৃদ্ধার। তাদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে।
আরোও পড়ুন: স্কুল বাস উল্টে মৃত্যু ৫ শিশুর! ১৫ জনের বেশি গুরুতর আহত, ঈদের দিন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
তারপর ওই বৃদ্ধা একাই থাকতেন মাটির ঘরে। তবে তুমুল বৃষ্টিতে সেই মাটির ঘর মিশে গেছে। তারপর সামান্য মাথার ছাদের জন্য ওই বৃদ্ধা পঞ্চায়েতের শরণাপন্ন হন। তবে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে একটি প্লাস্টিক দিয়েই দায়ভার ঝেড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। আর কোনও উপায় না পেয়ে ওই বৃদ্ধা আশ্রয় নেন শৌচালয়ে।
আরোও পড়ুন : রোজার সময় একমাস জল খান না মুসলিমরা! কুর্নিশ জানিয়ে মমতা বললেন, ‘একদিন উপোস করলে তিনদিন খাই’
গত এক বছর ধরে ওই বৃদ্ধার দিন কাটছে সেখানেই।এই ঘটনায় চিন্তিত বৃদ্ধার প্রতিবেশীরাও। গ্রামবাসীরা বলছেন, লোকের বাড়িতে কাজ করেন ওই বৃদ্ধা। প্রশাসনের একটু মানবিক হওয়া উচিত। মানবিকতার খাতিরে প্রশাসন ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়াক। মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করা হোক একটা। ডুঁড়কু গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ওই বৃদ্ধার আবাসস্থল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে।
পঞ্চায়েতের প্রধান চাঁদমনি করামুদি জানেনই না বৃদ্ধার এই অসহায়তার কথা। আবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি এই ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের ঘাড়েই। অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূলের লোকজন কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনার টাকা পেয়েছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে অট্টালিকা বানিয়েছেন তৃণমূলের নেতারা।