বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত শুক্রবারের করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) দুর্ঘটনায় অজস্র যাত্রী নিহত ও আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুই চালকও। এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাদের মনে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক জে এন মোহান্তি এবং সহকারী চালক এইচ বেহারা বেঁচে গিয়েছেন ভাগ্য জোরে।
ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই দুই চালক। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বাঁ পায়ে চিড় ধরেছে চালকের। জ্ঞান রয়েছে তার। তবে শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল তিনি। মানসিক অবস্থা ভালো না চালকের। তবে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন সহচালক। আইসিইউতে রয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকরা এই দুজনের উপরই নজরদারি করছেন। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয় উড়িষ্যার বালেশ্বরের কাছে। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতটাই ছিল যে করমন্ডল এক্সপ্রেস একটি মাল গাড়ির উপর উঠে যায়। এই দুর্ঘটনায় সরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা ২৮৮। আহত প্রায় হাজার।
এই দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালক ও সহচালক। উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। এই দুজনের অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয় বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। দুই চালকের পরিবারও এখনো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। রেল বোর্ডের সদস্য (অপারেশন) জয়া বর্মা সিন্হা জানিয়েছেন, “চালক আমাদের জানিয়েছেন দুর্ঘটনার আগে মুহূর্তে সবুজ সিগন্যাল ছিল আপ লাইনে। এরপর ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এতে দোষ নেই ট্রেনের চালকের।”
গতকাল রাত ১০:৪০ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর বালেশ্বর এর ওই ডাউন লাইন দিয়ে একটি মাল গাড়ি চালানো হয়। এরপর আপ লাইন দিয়ে একটি ট্রেন চালানো হয় রাত বারোটা পাঁচ মিনিটে। আজ সকালে ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার বেগে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ওই লাইন দিয়ে গিয়েছে। আপাতত নতুন এই লাইন দিয়ে ধীর গতিতে ট্রেনগুলিকে চালানো হবে।