বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কার্যকাল 24 শে জুলাই শেষ হতে চলেছে এবং পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সরগরম দেশের রাজনীতি। শাসক দল থেকে দেশের সকল বিরোধী দল নির্বাচনের জন্য যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে, তা বলা বাহুল্য। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিজেপি দলের প্রস্তাবিত প্রার্থীর জয় লাভ করা কিছুটা হলেও দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে আর তার কারণ হলো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য যে পরিমাণ সংখ্যা দরকার পড়ে, তা তাদের কাছে বর্তমানে নেই।
সূত্রের খবর, দেশের বিরোধী একাধিক শক্তি যেমন কংগ্রেস থেকে এমসিপি এবং তৃণমূল থেকে শিবসেনার মত দলগুলো নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টায় রয়েছে। আর এই খবর সামনে আসতেই বর্তমানে আসরে নেমেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে দলের একাংশ। জানা যাচ্ছে, দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের পাশাপাশি পীযূষ গোয়েলসহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদদেরও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া হতে চলেছে।
জুলাই মাসে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদকাল শেষ হবে। ফলে জুনের মধ্যেই আগামী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কেন্দ্র। আর সেই কারণেই বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সকল দলগুলিকে কাছে টানার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য শাসকদল যে কৌশল নিতে চলেছে তার মুলকেন্দ্রে থাকবেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। কিন্তু এছাড়াও সামনের সারিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও পীযূষ গোয়েলের মতো নেতৃত্বকে রাখা হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন দলের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে তাঁদের।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজ্যের সাংসদ এবং বিধায়করা নিজেদের মতদান করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের জনসংখ্যার উপর সেখানকার বিধায়কদের ভোটের মাত্রা ঠিক করা হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভোটের মাত্রা সর্বোচ্চ উত্তরপ্রদেশে এবং এরপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের স্থান। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের মত রাজ্য গুলির ভূমিকা যে উল্লেখযোগ্য হতে চলেছে, তা বলা বাহুল্য। এর উপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন পড়ে, তা শাসক দলের কাছে না থাকার ফলে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক বহুদূর বিস্তৃত হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।