হায় হায়! হঠাৎই মূল্যবৃদ্ধি রান্নার তেলের, চাল-আনাজ কিনতে গিয়ে কপাল চাপড়াচ্ছেন গৃহকর্তারা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রিত করা হয় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের রপ্তানি। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর সেই নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করেছে সরকার। আর তারপর থেকেই লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম (Price Hike)। চাল থেকে শুরু করে পেঁয়াজ, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ উঠে যাওয়ার পর দাম বাড়তে শুরু করেছে হু হু করে।

অগ্নিমূল্য (Price Hike) রান্নার তেল থেকে শুরু করে চাল, আনাজ

এই আবহে ২২ শতাংশ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয় ভোজ্য তেলের। আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির পর সব ধরনের ভোজ্য তেলের খুচরো দাম কেজিতে কমপক্ষে ৩০ টাকা করে বৃদ্ধি (Price Hike) পেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে টাস্ক ফোর্সকে দুর্গা পুজোর সময় দেখা গিয়েছে বিভিন্ন বাজারে। কিন্তু তারপরেও চাল, সবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী।

আরোও পড়ুন : বাড়ছে ঝাঁঝ! এবার দেশ জুড়ে অনশনে জুনিয়র ডাক্তারেরা, বাংলার অনশনকারীদের পাশে IMA

মিল মালিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আবদুল মালেক জানিয়েছেন, ‘‌এই ঘটনায় চাষিরা ধানের দাম বেশি পাবেন। এখন মোটা স্বর্ণ ধানের দাম খোলাবাজারে কুইন্টালে ২০০ টাকা বেড়েছে। গোবিন্দভোগ বেড়েছে ৪০০ টাকা। মিনিকিট চালের দাম কেজিতে ২ টাকার মতো বেড়েছে।’‌ এক ধাক্কায় ভোজ্য তেলের দাম অনেকটা বেড়ে (Price Hike) যাওয়ায় পকেটে চাপ পড়েছে মধ্যবিত্তর।

Price Hike

তেলের খুচরো দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে বাইরের খাবারেরও। পুজোর মরশুমে তাই অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে আম আদমির বাজেট। রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে এই বিষয়ে বলেন, ‘‌পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৩৮ টাকা। ফলে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা নেওয়া ঠিক নয়। দুর্গাপুজোর সময় লরি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাই সরবরাহ কমেছে। সবজির দামবৃদ্ধি হয়েছে।’‌

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর