বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (Primary Recruitment Scam) নয়া মোড়। দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইডি এবং সিবিআই, দুই সংস্থার নজরেই রয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর স্ক্যানিং এবং মূল্যায়নের দায়িত্বে থাকা এস বসু রায় সংস্থাটি। যদিও সিবিআই (CBI) জানায়, ওএমআর সম্বন্ধিত সকল তথ্য তারা নষ্ট করে ফেলেছে। যা কিনা এই মামলার তদন্তের জন্য ভীষণ জরুরি ছিল। এবার সেই তথ্য উদ্ধার করতে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (Primary Recruitment Scam) ওএমআর পেতে মরিয়া সিবিআই!
এই মামলার (Primary Recruitment Scam) তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়, ওএমআর স্ক্যান করে যে সার্ভারে রাখা হয়েছিল সেটি ২০১৭ সালে বদলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সার্ভার ‘ক্র্যাশ’ করার কারণে সেটি হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান। সেই অনুযায়ী তা ভেঙে দেওয়া হয়।
একথা শুনে হাইকোর্ট বলে, ডিজিটাইজড তথ্য কখনও নষ্ট হয় না। তাই দরকার পড়লে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিক সিবিআই (CBI)। আদালতের এই নির্দেশের পর জুলাই মাস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে টানা কয়েকদিন অভিযান চালানোর পর বেশ কয়েকটি হার্ড ডিস্ক এবং ২টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুনঃ ‘দুর্নীতির কথা…’! অখিলকে ‘টাইট’ দিতে চরম পদক্ষেপ, বনমন্ত্রীর এক সিদ্ধান্তে তোলপাড়!
এবার জানা যাচ্ছে, ওখানে কী তথ্য রয়েছে তা পুনরুদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৭টি হার্ডডিস্ক সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিটিং-য়ে পাঠাচ্ছে তারা। সেখানে ওই হার্ডডিস্কগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে সেখান থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যায় কিনা। যদি কেন্দ্রীয় সরকারি ওই সংস্থা হার্ডডিস্ক থেকে তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, তাহলে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার (Primary Recruitment Scam) মোড় ঘুরে যেতে পারে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্কের তথ্য উদ্ধারের জন্য দরকার হলে ন্যাশানাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির সাহায্য নেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, এর আগে সিডিএসির আধিকারিকরা যখন সিবিআইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল, তখন তাঁরা বলেছিলেন, হার্ড ডিস্কের কোনও তথ্য মুছে ফেলার পর সেখানে যদি আর কিছু লেখা না হয়ে থাকে তাহলে ওই তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব। এবার দেখা যাক, এস বসু রায়-এর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিস্কগুলি থেকে কোনও তথ্য উদ্ধার করা যায় কিনা।