কুণালের সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচক, অবশেষে ধরনা তুলে নেওয়ার ঘোষণা টেট আন্দোলনকারীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে কি চাকরিপ্রার্থীদের মান ভাঙাতে সক্ষম হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)? দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হওয়ার পর ইতিমধ্যেই ধরনা তুলে নেওয়ার পথে চাকরিপ্রার্থীরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়।

এদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ২০০৯ সালের প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা)। এক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষন ধরে চলে বৈঠক আর অবশেষে ইতিবাচক আলোচনা পর ধরনা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আন্দোলনকারীরা। তবে ধর্মতলা থেকে ধরনা তুলে নেওয়া হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় তাদের অবস্থান চলবে বলেই জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম গোটা বাংলা। একদিকে যখন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা হেফাজতে, আবার অপরদিকে এসএসসি, প্রাথমিক টেট আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে উত্তাল বাংলা। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আদালতের অনুমতি নিয়ে ধর্মতলায় ধরনা মঞ্চে বসে ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক প্রার্থীরা।

অভিযোগ, সিপিএম সরকারের আমলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে ২০১৪ সালে ইন্টারভিউ হলেও নিয়োগ হয়নি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কারোরই।সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী সোমবার নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা নেয় বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। তবে এর মাঝেই এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

ssc 1

উক্ত বৈঠক প্রসঙ্গে এদিন আন্দোলনকারীরা জানান, “এতদিন ধরে খুব সমস্যায় পড়েছিলাম। তবে বর্তমানে হাইকোর্ট এবং সরকার আমাদের কথা শুনেছে।” অপরদিকে সরকারের দাবি, এই মামলায় হাইকোর্টের তরফ থেকে রায় দেওয়ার পরে তাদের তরফ থেকে কাজ করা শুরু হবে। যদিও ধর্মতলা থেকে ধরনা তুলে নিলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডিপিএস অফিসের নিকট বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর