বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই সংসদে পেশ হওয়া কেন্দ্র সরকারের কৃষি বিল (agricultural bill) নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে। কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi)। সেই সঙ্গে বিরোধীদের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীরাই কৃষকদের অপমান করছে
যুব কংগ্রেসের একদল কর্মী দিল্লীর একটি ট্রাক্টরে আগুন দেওয়ার পরে, উত্তরাখণ্ডে নিকাশী নিরাময়ের জন্য ‘নামামি গাঙ্গে’ প্রকল্পের আওতায় ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কড়া মুডে বললেন, ‘যারা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য কৃষিক্ষেত্র জ্বালিয়ে দিচ্ছে, তারাই কৃষকদের অবমাননা করছে। কৃষকদের মেশিন ও সরঞ্জামগুলিতে আগুন লাগিয়ে লাগাতার কৃষকদের অপমান করছে’।
বিরোধীদের কটাক্ষ করে মোদী বলেন, ‘নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতাকারীরা ক্ষমতায় থাকাকালীন এখন ন্যূনতম সহায়তা মূল্য বাস্তবায়নের পক্ষে সমর্থন করলেও, পূর্বে কখনও তা করেননি। এমএস স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে আমাদের এনডিএ সরকার এই কাজ করেছে’।
নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধ করতে বিরোধীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে!
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী জি বলেছিলেন, ‘কিছু মানুষ এই কৃষকদের স্বাধীনতা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। কারণ এই আইনের ফলে তাদের কালো টাকা উপার্জনের দিন শেষ হয়ে এসেছে। করোনা আবহের মধ্যেও সংসদের বাদল অধিবেশনে কৃষক, শ্রমিক ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নানা বিধ আইনে সংস্কার আনা হয়েছিল। তবে কিছু মানুষ তাদের স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্য কিভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে, তা সমগ্ৰ দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে। নতুন রূপে পাশ হওয়া এই আইনে শ্রমিক, তরুণ, মহিলা এবং কৃষকদের স্বার্থে তাদের শক্তিশালী করার জন্যই গ্রহণ করা হয়েছে’।
आज जब केंद्र सरकार किसानों को उनके अधिकार दे रही है, तो भी ये लोग विरोध पर उतर आए हैं।
ये लोग चाहते हैं कि देश का किसान खुले बाजार में अपनी उपज नहीं बेच पाए।
जिन उपकरणों की किसान पूजा करता है, उन्हें आग लगाकर ये लोग अब किसानों को अपमानित कर रहे हैं। #AntiFarmerCongress pic.twitter.com/ySxqivV2QU
— BJP (@BJP4India) September 29, 2020
প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডের ‘নামামি গাঙ্গে’ প্রকল্পের উদ্বোধনকালে গঙ্গা নদীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা না করার জন্য পূর্বের সরকারকে দোষারোপ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ‘বিগত দশকগুলিতে গঙ্গা নদী পরিষ্কারের জন্য বড় উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। ততকালীন সময়কার মানুষের অংশগ্রহণ বা দূরদর্শিতার অভাবে সেই কাজ আজও সম্ভব হয়নি।