বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত অযোধ্যাতে (Ayodhya) লাগাতার চলা রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকে রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ সমিতির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্রের সাথে ট্রাস্টের ১২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, আর তিনজন সদস্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন। ট্রাস্টের মহাসচিব চম্পত রাই সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে বৈঠকে নেওয়া নির্ণয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে অবগত করান।
After the situation becomes normal, funds are collected and all drawings for the construction of the temple are complete, we think the construiction will be completed within 3-3.5 years: Champat Rai, General Secretary, Sri Ram Janmabhoomi Tirth Kshetra Trust pic.twitter.com/JNoBVX4nuf
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 18, 2020
উনি বলেন, বৈঠকে সবাই নির্মাণ নিয়ে প্রসন্নতা জাহির করেছেন। আর যেই ধ্বংসাবশেষ প্রাপ্ত হয়েছে, সেটা সবাই দেখেন এবং খুশি জাহির করেন। যদিও যেখানে মন্দির নির্মাণ হবে, সেখানকার মাটি কতটা শক্তিশালী সেটার রিপোর্ট আসা এখনো বাকি। ওই রিপোর্ট আসার পরই সেখানে নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন হবে। ৬০ মিটার নীচে পর্যন্ত মাটির স্যাম্পেল নেওয়া হবে। এরজন্য লার্সেন অ্যান্ড টার্বো কোম্পানি কাজ করছে।
ট্রাস্টের সদস্য কামেশ্বর চৌপাল বলেন, ভূমি পূজনের জন্য আমরা তিন আর পাঁচ আগস্টের দিন নির্ধারণ করেছি। এবার এটা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নেওয়া হবে। এর সাথে সাথে উনি জানান, রাম মন্দির ডিজাইনেও বদল আনা হবে। ট্রাস্টের বৈঠকে নির্ণয় নেওয়া হয় যে, প্রথমে মন্দিরের জন্য তিনটি পিলার বানানো হয়েছিল, কিন্তু এবার পাঁচটি পিলার হবে। মন্দিরের মডেল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নির্ধারিত মডেলই থাকবে। কিন্তু উচ্চতা, দৈর্ঘতা বাড়ানো হবে।
We have sent to Prime Minister two dates to choose from – either 3rd August or 5th August – as the date to lay down the foundation of the Ram Temple. The constrcutin will begin on the date he deems fit: Kameshawar Chaupal, Ram Janmabhoomi Teerth Kshetra Trust pic.twitter.com/3mcLboVsKv
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) July 18, 2020
মন্দির নির্মাণ কতদিনে সম্পূর্ণ হবে সেই নিয়ে চম্পত রাই বলেন, যখন সমস্ত প্রাথমিক কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন নির্মাণের গণনা শুরু হবে, দেশের ১০ কোটি পরিবারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়া হবে, এরপরই মন্দির নির্মাণের কাজ হবে। এরপর যদি লকডাউনের পরিস্থিতি সামান্য হয়ে যায় তাহলে তিন বছরের মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।