বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গভীর রাতে বারাণসী ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে পেয়ে রেল যাত্রীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যায়। গভীর রাতে নিজের সংসদীয় এলাকায় সফরে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্যান্ট স্টেশনের পর্যালোচনা করতে পৌঁছেছিলেন। তিনি এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন এবং যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা এবং তাদের সবচেয়ে পছন্দের বিষয়ে খোঁজ নেন।
শুক্রবার গভীর রাতে যাত্রীরা হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীকে তার সামনে দেখে সবাই মোদী-মোদি স্লোগানও দেয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি তোলা এবং তার ভিডিও করার যেন প্রতিযোগিতা চলছিল। প্রধানমন্ত্রী এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। কুশাগড়া লাউঞ্জের পরিচালক জানান, প্রধানমন্ত্রী পুরো লাউঞ্জ ঘুরে ছবি দেখেন।
লাউঞ্জ-র কর্মীদের সাথে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী এবং গ্রাহকদের পছন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভোকাল ফর লোকাল-র জন্য প্রদর্শিত বেনারসি শাড়ি ও কাঠের খেলনাগুলি দেখেন। এরপর তিনি প্রশংসা করে লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে যান।
প্রধানমন্ত্রী যখনই যাত্রী হলে প্রবেশ করেন তখনই সঙ্গে সঙ্গে গোটা স্টেশন চত্বরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকজন যাত্রী যারা অন্য প্ল্যাটফর্মে ছিলেন, তাঁরা দৌড়ে রেললাইনে লাফ দিয়ে ট্র্যাক পার হয়ে এক নম্বর প্লাটফর্মে পৌঁছে সেলফি তোলা শুরু করেন। তবে এ সময় ট্র্যাকটি ফাঁকা ছিল।
শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে খিরকিয়া ঘাটে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি ঘাটে পর্যটকদের জন্য কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও ব্যবস্থা করা হয়েছে তার খোঁজখবর নেন। কিছুদূর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পায়ে হেঁটে আয়োজনের খোঁজ নেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি গলফ কার্ট আনা হয়েছিল, কিন্তু তিনি তাতে বসেননি। প্রধানমন্ত্রী কর্মরত সংস্থা এবং বিভাগীয় কমিশনার দীপক আগরওয়ালের কাছ থেকে তথ্য নেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খিরকিয়া ঘাট থেকে বারেকার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।