বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্নান করা যাবে না দিঘার ঘাটে। নরম সবুজ শ্যাওলায় ছেয়ে গেছে দিঘা সমুদ্র বাঁধাই ঘাট। সাবধান না হলে যেকোনো সময় পিছলে পড়বেন যে কেউ। এই অবস্থায় বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। ওল্ড দিঘার এই ঘাটকে এক নজরে দেখলে মনে হবে যেন পাতা রয়েছে সবুজ কার্পেট। তার উপর দাঁড়িয়ে পর্যটকেরা সমুদ্রের ছবি তুলছেন।
আর এতেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। সামান্য অসতর্ক হলেই পা পিছলে যাচ্ছে। এমনকি পা পিছলে বিচের নিচের দিকে গেলে বড় পাথরে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। দিঘার বেশ কিছু বিচে এই ধরনের শ্যাওলা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে বিশেষ উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষ।
আরোও পড়ুন : বিয়ে করার ইচ্ছে, মিলছে না পাত্রী! এবার বউ খুঁজতে রিক্সায় হোর্ডিং লাগিয়ে চমকে দিলেন যুবক
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্রও একবার এই শ্যাওলার উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে খুব জোরে আছাড় খেয়েছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল খুব সমাজমাধ্যমে। জোয়ারের সময় এখান দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বেশ কয়েকজনের পা পিছলে গেছে। এই ধরনের ঘন সবুজ শ্যাওলা বেশি করে দেখা যাচ্ছে ওল্ড দিঘার পাথরের ঢালাই করা ঘাট সহ বিচে।
আরোও পড়ুন : বিরুস্কার ছেলে ‘অকায়’-এর নামের অর্থ কী? জানলে আপনিও নিজের সন্তানের জন্য রাখতে চাইবেন
এই শ্যাওলাগুলির ভিতরে আবার লুকিয়ে রয়েছে ছোট ছোট ধারালো ঝিনুক। এই ঝিনুকগুলিতে পা পড়লে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত তিন বছর হল উৎপত্তি হয়েছে এই ধরনের শ্যাওলার। ওল্ড দিঘার এক নম্বর এবং দু’নম্বর ঘাটে শ্যাওলার উপর দিয়ে হাঁটা ও স্নান বন্ধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, “শ্যাওলা এর আগেও ছিল। তবে এত পিচ্ছিল ঘন কার্পেটের মতো দেখতে শ্যাওলা দেখা যেত না। সব সময় জল থাকলে শ্যাওলা হবে তবে তা ৩৬৫ দিন জল জলের তলায় থাকলে এমন হওয়ার কথা। কেন হচ্ছে তা অবশ্য খতিয়ে দেখার বিষয় রয়েছে।” মহকুমা শাসক তথা দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান (মহকুমা শাসক কাঁথি) শৌভিক ভট্টাচার্য মুখ খুলেছেন।
তিনি জানাচ্ছেন, “এই শ্যাওলা বিষয়টি পর্যটকদের কাছে বিপজ্জনক। পরিষ্কার করা হয় তবে সব সময় পরিষ্কার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। যে কারণে ঘাট গুলিতে স্নান করা বা অবাধ চলাফেরা করা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পর্ষদের পক্ষে। সচেতনতার জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মজুত রাখা হচ্ছে নুলিয়াদের।”