বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তপ্ত কোচবিহার (Cooch Behar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আবহে আগুন জ্বলছে উত্তরবঙ্গের (North Bengal) এই জেলায়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে গ্রাউন্ড জিরোতে হাজির হতে হচ্ছে স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও (CV Ananda Bose)। রাজনৈতিক হিংসায় বলি হওয়া একাধিক মানুষের বাড়ি যান পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) সাংবিধানিক প্রধান। এমনকি আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান তিনি। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এক চাঞ্চল্যকর খবর। গরুর মাংসকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়ল চরম অশান্তি।
কী হয়েছে ঘটনা? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি খবর। কোচবিহারের কোনও একটি খাবার হোটেলে খাবারের সঙ্গেই মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে গরুর মাংস। খবর জানানি হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ক্ষোভে সেই হোটেলের সামনে বিক্ষোভও দেখান একদল লোক। এই বিক্ষোভেরও একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একদল লোক উত্তেজিত ভাবে কিছু বলার চেষ্টা করছেন। এবং এই পুরো ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করছেন কিছু ব্যক্তি। এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদা জামা পরিহিত এক ব্যক্তি। তাঁর মুখ স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে ওই ছবিতে। সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে এরপরই।
বিক্ষোভের ভাইরাল ছবিতে দেখা যাওয়া ওই সাদা জামা পরিহিত ব্যক্তির মৃতদেহের খোঁজ মিলল গত শুক্রবার। সেই ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, সেদিনের প্রতিবাদ করা ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পরে রয়েছে একটি স্ট্রেচারে। শরীরে লেগে রেয়েছে কাদামাটি। সারা দেহে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। বিভৎস আকার নিয়েছে তাঁর মুখ। নাকে-মুখে চাপচাপ রক্তের দাগ।
বিভৎস এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছেন নেগ নাগরিকরা। খাবারে ইচ্ছাকৃত গরুর মাংস মিশিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করার মাসুল দিলেন ওই ব্যক্তি, এমনই মনে করছে বিভিন্ন মহল। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংস্থা। তদন্তের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
এদিকে, গরুর মাংস নিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রদেশেও। সে রাজ্যে ‘গরুর মাংস’ নিয়ে যাওয়ার সময় দু’জন মুসলিম ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল বজরং দলের (Bajrang Dal) কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার ইদের ঠিক আগের দিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আক্রান্ত দুই যুবকের দাবি, তাঁদের সঙ্গে থাকা মাংস গরুর নয়।