বাংলাহান্ট ডেস্ক : তুলকালাম জয়নগর! বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি ঘিরে দেখানো হল বিক্ষোভ। কালো পতাকা দেখাল প্রায় শ’খানেক লোক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের মইপীঠ এলাকার ঘটনা। রবিবার মইপীঠে একটি দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তখনই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় কিছু মানুষ।
জয়নগর ও কুলতুলি এলাকায় যেসব বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আজ দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্তবাবু। সেসব সেরে তিনি যখন কলকাতায় ফিরছিলেন সেইসময় তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, জোর করে একশো দিনের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। সেই টাকা ছেড়ে দিতে হবে। এমনকি সুকান্তর গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জয়নগর থানার বিরাট পুলিস বাহিনী।
ওই বিষয় নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘জয়নগরে যেসব বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরছিলাম। বকুলতলা নতুনহাটের ৫ কিলোমিটার আগে আমাদের গাড়িকে ঘেরার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে ওরা কালো পতাকা দেখায় বকুলতলা হাটের আগে। গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। ওখানে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী, জেহাদি বাহিনী এসে গাড়ি ঘিরে ধরে। গাড়িতে লাঠি দিয়ে মারে। গাড়ির কাচ ভাঙার চেষ্টা করে। এক বা দুজন পুলিসকে আমরা দেখেছি। কোনওরকমে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা আমার গাড়ি বের করে আনেন। গাড়ির কাচ না ভাঙলেও ওয়াইপার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যেসব পোস্টার দেখানো হচ্ছিল তা প্রিন্ট বের করে আনা হয়। তাই এই বিক্ষোভ পূর্বপরিকল্পিত। ওরা বলছিল সুকান্ত মজুমদার জবাব দাও। মুখ্যমন্ত্রী চুরি করবে, আর জবাব দেবে সুকান্ত মজুমদার! এদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে লড়াই হবে।’
ওই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ‘আমার মনে হয় না সুকান্ত মজুমদারকে কেউ কালো পতাকা দেখাতে যাবে। দলের বহু নেতা এমন চড়া মাত্রায় হিন্দু-মুসলমানের রাজনীতি করছেন, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এটা দলের কোনও বিষয়ই নয়। তবে এনিয়ে খবর নেব। এখানকার নেতারা বলছেন, দিল্লিকে বলেছি টাকা আটকে দিতে। এরকম বললে মানুষ একশো দিনের টাকার দাবি তো করবেই। তাতে আর দোষের কী?