বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেয়ো রোডের প্রতিবাদ মঞ্চ ঘিরে তীব্র হয়ে উঠল রাজনৈতিক সংঘাত। সেনাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতায় এবার সরাসরি ময়দানে নামছেন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিকরা। ধরনার অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর এই নিয়ে শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
ঠিক কী ঘটেছিল?
ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মেয়ো রোডে প্রতিবাদ মঞ্চ খাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু সেনার তরফে জানানো হয়, কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য সর্বোচ্চ ২ দিনের অনুমতি দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ দাঁড়িয়ে থাকায় গত সোমবার সেনা কর্মীরা ত্রিপল, বাঁশ, ফ্লেক্স খুলে ফেলেন। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
মঞ্চ খোলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনার ভূমিকাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এটা সেনার কাজ নয়, এর পিছনে বিজেপি ও দিল্লির নির্দেশ রয়েছে।” মমতার অভিযোগ, প্রায় ২০০ সেনাকর্মী তাঁকে দেখে ছুটে পালায়। তাঁর দাবি, সেনারা রাজনৈতিক চাপে কাজ করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের দোষ নেই।
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্যে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রশ্ন তোলেন, তৃণমূল কি রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাকে আক্রমণ করছে?
ধর্নার অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা, প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এরূপ মন্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিকরা ধরনা কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সোমবার হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়েরের আবেদন হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ধরনার আবেদন গ্রহণ করেছেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তায় মত্ত অবস্থায় তৃণমূল নেত্রীর দাদাগিরি? ভিডিও ভাইরাল হতেই পদ খোয়ালেন মহিলা কাউন্সিলর
মেয়ো রোডের মঞ্চ ঘিরে সেনা, তৃণমূল ও সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক টানাপোড়েন এখন আদালত পর্যন্ত গড়াল। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট (Calcutta High Court) সেনাবাহিনীর মর্যাদা রক্ষার্থে কি সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেটাই দেখার।