পানীয় জলের আকাল, হাহাকার শিলিগুড়িতে! মেয়রের গাড়ি আটকে চোর স্লোগান

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পানীয় জলের (Drinking Water) অভাবে শিলিগুড়ি (Shiliguri) জুড়ে বিরাট হাহাকার। আসলে এতদিন পুরসভা থেকে যে জল দেওয়া হচ্ছিল সেই জলের মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। বিগত প্রায় ২০ দিন ধরে শিলিগুড়ির মানুষ সেই দূষিত পানীয় জল খেয়ে ভর্তি  হয়েছেন হাসপাতালে।

তাই বুধবার শিলিগুড়িতে মেয়র (Mayor) গৌতম দেব (Gautam Deb) জানিয়ে দিয়েছেন পুরসভা থেকে সরবরাহ করা পানীয় জল খাওয়ার অযোগ্য, তাই আপাতত এই জল সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। শিলিগুড়িতে মেয়র জানিয়েছিলেন পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত পুরনিগমের সরবরাহ করা পানীয় জল কেউ পান করবেন না।

তবে পুরসভার জল পান করার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও বিকল্প হিসেবে মেয়র ঘোষণা করেছিলেন জলের পাউচ বিলি করা হবে শিলিগুড়ি শহরে । সেই সাথে ২৬ টি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।  প্রসঙ্গত শিলিগুড়িতে বর্তমানে মহানন্দা নদী থেকে যে জল আসে তা পরিশ্রুত করে তবেই পানীয় জল হিসেবে সরবরাহ করে পুরসভা।

কিন্তু ইদানিং সেই জলের মান খারাপ হয়েছে। তাই সেই জল পান করে অসুস্থ হয়ে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। তাই দেরিতে হলেও প্রশাসনের টনক নড়ায় এই মুহূর্ত সেই জল পান করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  তবে এই জল গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র গৌতম দেব।

আরও পড়ুন: চুরির অপবাদ, বারুইপুর আশ্রমে পিটিয়ে খুন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র! উত্তেজনা গোটা এলাকায়

তবে শিলিগুড়িতে তীব্র জল সংকটের ফলে যে হাহাকার তৈরী হয়েছে তাতে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। তবে এই ইস্যুকে সামনে রেখেই এবার পথে নেমেছে বামেরা। শিলিগুড়ির পুরসভায় সিপিএম এবং এসইউসিআইয়ের তরফে বিক্ষোভ দেখানোও হয়েছিল। মেয়র গৌতম দেবের গাড়ি আটকে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ স্লোগান-ও দেওয়া হয় শহরের রাস্তায়।

শেষ পর্যন্ত অন্য গাড়িতে করে তিনি বাধ্য হন এলাকা ছাড়তে। এপ্রসঙ্গে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন,’সঙ্গত কারণেই শিলিগুড়ির মানুষ এখানে জল চাইতে এসেছেন। কেউ রাজনীতি করতে আসেনি। মানুষকে বিষাক্ত জল পান করানো হয়েছে। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে না? এঁদের পুরসভা চালানোর অধিকার নেই। আমাদের আন্দোলন চলবে’।

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

X