বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ভোটচুরি’ অভিযোগে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর আনা বিস্ফোরক অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার নড়েচড়ে বসল দেশের শীর্ষ আদালত। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর দাবি, প্রয়োজনে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করতে হবে।
রাহুলের অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের
সূত্রের খবর, রোহিত পাণ্ডে নামে এক আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “গত ৭ আগস্ট রাহুল গান্ধী যে অভিযোগগুলি করেছেন সেগুলি ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার মতো।” মামলাকারীর মতে, যদি অভিযোগগুলি সত্যি হয় তবে সেটা এক বিরাট অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র। রাহুলের দাবি অনুযায়ী, বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন মিলে কর্নাটকের এক কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি করেছে। তাই আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত SIR প্রক্রিয়ায় কমিশন যেন কোনও অগ্রগতি বা সিদ্ধান্ত না নেয়, সেটাই দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট ভোটার তালিকা প্রকাশ্যে তুলে ধরে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, “মোট ছ’রকমভাবে ‘ভোটচুরি’ হচ্ছে।” তাঁর দাবি, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি কমিশনের সাহায্যে একাধিক আসনে জিতেছে। শুধু তাই নয়, বিহারকে সামনে রেখে রবিবার থেকে তিনি শুরু করেছেন ‘ভোট অধিকার যাত্রা’। টানা কয়েকদিন ধরেই বিরোধী নেতা একের পর এক মঞ্চে কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে চলেছেন।
তবে, রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার গণেশ কুমার সরাসরি নাম না করে বলেন, “‘ভোটচুরি’র মতো আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।” তবে একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, ভোটার তালিকায় কিছু ত্রুটি রয়েছে। তাঁর কথায়, “সেসব ত্রুটি মিটিয়ে নিতেই বিহারে SIR করা হচ্ছে। সব পক্ষ অংশগ্রহণ করছে, যাতে প্রক্রিয়াটি নিখুঁত হয়।” কিন্তু রাহুল যে ছ’দফা অভিযোগ তুলেছেন, তার কোনও জবাব দেননি কমিশনার।
আরও পড়ুনঃ ৪৭ মাস ধরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে অন্য পুরুষের অ্যাকাউন্টে! বিস্ফোরক অভিযোগ বাদুড়িয়ায়
রাহুলের অভিযোগের পর রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ভোটতালিকার ত্রুটি স্বীকার করলেও সরাসরি তদন্তের পথে হাঁটেনি। এখন দেখার, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই মামলায় কী রায় দেয় এবং আদৌ কোনও বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন হয় কিনা।