বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেনা সুত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, জম্মু কাশ্মীরে পুলওয়ামার (Pulwama) মতো আরেকটি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথাপুরা গ্রামে সেনা ৫২ কেজি বিস্ফোটক সামগ্রী উদ্ধার করেছে। শোনা যাচ্ছে যে, এই বিস্ফোটক গুলোর মাধ্যমে সেনার উপর বড়সড় হামলার ষড়যন্ত্র করছিল জঙ্গিরা।
আরেকদিকে আজ সকালে শ্রীনগরে (Srinagar) সেনার (Indian Army) এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। সংবাদসংস্থা ANI অনুযায়ী, এই এনকাউন্টার শ্রীনগরের বটমালু এলাকায় হয়েছে। পুলিশ আর সিআরপিএফ (Central Reserve Police Force) এর জওয়ানরা গোটা এলাকা ঘিরে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে। এর আগে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ মঙ্গলবার হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গি সংঠনের এক গোষ্ঠীর খোঁজ পায়। পুলিশ জানায়, গোপন সুত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, কাশ্মীরের তিন যুবকের এক গোষ্ঠী পাকিস্তানি জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।
#UPDATE One identified terrorist has been neutralised in the ongoing encounter in Srinagar. Search underway. Further details awaited: Kashmir Zone Police https://t.co/Sz5NsZEIDJ
— ANI (@ANI) September 17, 2020
ওই তিন যুবকের নাম এবং ঠিকানা প্রকাশ করে পুলিশ। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গুটলীবাগের বাসিন্দা আরশিদ খান, গান্দরবলের বাসিন্দা মাজিদ রসুল আর মোহম্মদ আসিফ নজর পাকিস্তানি জঙ্গিদের সাথে জগাজগে ছিল। এরা তিনজন পাকিস্তানি জঙ্গি ফায়াজ খানের সাথে যোগাযোগ করত। আর ফায়াজের নির্দেশে এলাকায় জঙ্গি গতিবিধি চালাত।
#UPDATE 2 more terrorists (total 3) neutralised in the ongoing encounter in Batamaloo area of Srinagar, J&K: Kashmir Zone Police
— ANI (@ANI) September 17, 2020
এই অপারেশন গান্দরবল পুলিশ আর ৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এর সংযুক্ত টিম করে। ওই তিনজনকে গ্রেফতার করার পর হাতিয়ার আর ইলেক্ট্রিক উপকরণ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের এই গোষ্ঠীকে পাকিস্তান দ্বারা এলাকায় জঙ্গি গতিবিধি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হত। তিনজনের বিরুদ্ধে গান্দরবল পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
গান্দরবল এসএসপি খলিল আহমেদ পোসবাল জানান, এরা এলাকার যুবকদের ব্রেন ওয়াশ করে সীমান্তের ওপারের জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করারত। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পর্ক করা হত। উনি জানান, আমরা এই বিষয়ে আরও তদন্ত করছি।