বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইকোর্টে ( Calcutta High Court) মিথ্যে মামলার জের। এবার শাস্তির মুখে মামলাকারী। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা (Post Poll Violence 2024) ঘিরে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ ছিল, বিরোধী দলের কর্মী হওয়ায় রাজ্যের শাসক শিবিরের লোকজনের দ্বারা আক্রান্ত তিনি ও তার পরিবার। তাদের পরিবারকে তৃণমূল বাড়ি ছাড়া করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে মামলাটির শুনানি চলছিল। এদিকে ওই ব্যক্তির করা মামলার প্রেক্ষিতে পাল্টা তথ্য প্রমাণ দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী আদালতে দেখান, যারা অভিযোগ করেছেন তারা সকলেই বাড়িতে রয়েছেন। মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
রাজ্য তরফে আরও জানানো হয়, দুই প্রতিবেশীর গোলমালকে ভোটে হিংসার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেছেন মামলাকারী। এর সাথে ভোট পরবর্তী হিংসার কোনো যোগই নেই। পরে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আদালতে মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি জানান ওই মমলাকারী। বলেন তিনি মামলা তুলে নিতে চান।
যদিও প্রথমে অভিযোগকারীর আবেদনে সায় দেয়নি আদালত। মিথ্যে অভিযোগ তুলে মামলা করায় চরম ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পরে অবশ্য মামলা তোলার অনুমতি দেন বিচারপতি। তবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কোর্টকে বিভ্রান্ত করা এবং আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য ১০০০০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে মামলা তোলার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।
জরিমানা হিসেবে পাওয়া ওই অর্থ কলকাতা হাইকোর্টের পুরনো বিল্ডিংয়ে মহিলা শৌচালয় নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। তার নির্দেশ, মামলাকারীর থেকে পাওয়া অর্থ রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে হবে। এরপর সেই টাকা মহিলা শৌচালয় নির্মাণ কাজে খরচ করতে হবে। আদালতকে তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘অন্য আদালতে যান..,’ জনস্বার্থ মামলায় বিরাট মন্তব্য, কী জানাল কলকাতা হাইকোর্ট?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রিপোর্ট জমা করে রাজ্য সরকার। বিচারপতি কৌশিক চন্দর ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী হিংসা সংক্রান্ত যে সমস্ত অভিযোগ ইমেল মারফত জমা পড়েছে তার মধ্যে শতাধিকই ভুয়ো, মিথ্যে। আর এবার হাতেনাতে সেই ভুয়ো মামলা ধরল হাইকোর্ট।