বাংলা হান্ট ডেস্ক :রাজ্যের পুলিশের নিয়ে কম অভিযো নেই। কখনও থানায় গিয়ে হেনস্থা হওয়া অবার কখনও বিভিন্ন কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুল থেকে সাধারণ মানুষ। তবে এবার সেই পুলিশেই মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য অভিনব পদক্ষেপ নিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিদিকো বলো কর্মসূচির পথে হেঁটে এসপিকে বলো কর্মসূচির উদ্য়োগ নিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। তাই জেলার বাসিন্দাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য় পুলিশ সুপার এস সেলভামুরগন এগিয়ে আসছেন। তবে
দিদিকে বলোর থেকে একটু আলাদা। কারণ, এসপিকে বলো কর্মসূচিতে ফোন করে নয় বরং হোয়াটস অ্যাপে নিজেদের সমস্যার কথা লিখে জানাতে হবে।
আর সমস্যার কথা জানালে পুলিশ সুপার নিজেই সেই সমস্যা সমাধানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবে। নভেমব্র মাসের ১৯ তারিখ থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু এখনও অবধি জেলার অধিকাংশ বাসিন্দাই এই বিষয়টি জানেনা না। জেলার মানুষ ৮৯৬৭১৭৭৬৬৬ নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ করে নিজের সমস্যার কথা জানাবেন। ইতিমধ্যেই এই বিষে। কর্মসূচির কথা সকলের প্রকাশ্যে আনতে জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাত্র এগার দিনেই ৩০টি অভিযোগ জমা পড়েছে এই এসপিকে বলো হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে। আর সব সমস্যাই মিটিয়েছেন স্বয়ং পুলিশ সুপার। আর এই পর্সঙ্গে বলতে গিয়ে পুলপিশ সুপার ট্রাফিক সহ বেআইনি মদ বিক্রির কথা এবং অন্যান্য সমস্যার কথা তাঁকে জানানো হলে তিনি নিজেই সমাধান করবেন।
তবে এই প্রকল্পের জন্য কিছুটা হলেও চাপে পড়েছেন বেশ কয়কেটি থানা। যেহেতু অনেক কাজেই পুলিশের মদত রয়েছে এমন অভিযোগ শোনা যায়, বিশেষ করে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়েও নানা অভিযোগ থাকে তাই এবার সেই সমস্য়া মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধান করবে জেলা পুলিশ।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি হল দিদিকে বলো। য়েখানে ফোন করে সমস্যার কথা জানালেই মুশকিল আসান সম্ভব। ইতিমধ্য়েই গোটা রাজ্য জুড়ে সেই প্রকল্প জোরকদমে চলছে।