বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুলে যাওয়ার নাম করে অনেক পড়ুয়াই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যায়। কারোর আবার গন্তব্য হয় সিনেমা হল। তবে এসব এবার বন্ধ হতে চলেছে! কারণ এবার এমন একটি পদ্ধতিতে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাটেনডেন্স (School Attendance) নেওয়া হবে, যেখানে স্কুল ফাঁকি দিলেই খবর চলে যাবে সোজা মা-বাবার কাছে!
ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমাতেই রাজ্যে কিউআর কোড অ্যাটেনডেন্স (QR Code School Attendance) ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে স্কুলে উপস্থিতির বিষয়টি জানাতে হবে পড়ুয়াদের। এর ফলে একদিকে যেমন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রছাত্রীরা কখন বিদ্যালয়ে (School) ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে সেই সংক্রান্ত তথ্য থেকে যাবে, তেমনই মেসেজ আকারে এই খবর পৌঁছে যাবে অভিভাবকদের কাছে।
ইতিমধ্যেই যাদবপুরের যাদবপুর বিদ্যাপীঠে এই কিউআর কোড পদ্ধতিতে অ্যাটেনডেন্স ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সরকারি অনুমোদিত এই বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি প্রায় ১৭০০ জন পড়ুয়া আছে। অন্যদিকে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৬৫। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদেরও কিউআর কোড স্ক্যান করে উপস্থিতির কথা জানাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘SILK’ শব্দটি ব্যবহারের অধিকার শুধুমাত্র একটি মাত্র সংস্থার? বার্জার মামলায় বিরাট রায় হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিদ্যাপীঠে প্রাথমিক বিভাগ থাকলেও, সেই বিভাগে এখনও কিউআর কোডের মাধ্যমে অ্যাটেনডেন্সের বিষয়টি চালু হয়নি। জানা যাচ্ছে, এই নতুন পদ্ধতি চালু হওয়ার পর যাদবপুর বিদ্যাপীঠের পড়ুয়াদের আইডেন্টিটি কার্ডে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কার্ডের পিছনে একটি কিউআর কোড রয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় স্ক্যানারের মাধ্যমে সেই কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। সফলভাবে স্ক্যান হলে পড়ুয়ার অ্যাটেনডেন্স মার্ক হয়ে যাবে।
অন্যদিকে সন্তান কখন বিদ্যালয়ে ঢুকছে এবং কখন বিদ্যালয় থেকে বেরোচ্ছে এই সংক্রান্ত তথ্য মেসেজের আকারে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে যাবে। সেই সঙ্গেই অভিভাবকদের কাছে একটি ই-ডায়েরি থাকবে। সেখানে সকল তথ্য উল্লিখিত থাকবে। রাজ্যের বিদ্যালয়ে এই অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতি চালু হলে একদিকে যেমন স্কুল ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমবে, তেমনই অভিভাবকদেরও চিন্তা কমবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।