হাতে কাঁচা টাকা পেতেই ফুর্তি শুরু, এই মেয়েগুলোর জন‍্য একটুও কষ্ট হয় না! স্পষ্ট কথা রচনার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়া তোলপাড় একের পর এক উঠতি অভিনেত্রী, মডেলের মৃত‍্যু সংবাদে। পল্লবী দে (Pallabi Dey) থেকে শুরু করে মঞ্জুষা নিয়োগী পর্যন্ত, গত বারো দিনের মধ‍্যে তিনটে তরতাজা প্রাণ শেষ হয়ে গিয়েছে। কী এমন বাধ‍্যবাধ‍্যকতা ছিল যার জন‍্য এত কম বয়সে জীবন শেষ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা? অভিনেত্রী রচনা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় (Rachana Banerjee) অবশ‍্য এক রকম তরুণ অভিনেতা অভিনেত্রীদেরই দোষারোপ করেছেন।

এই সময়ের হয়ে কলম ধরে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর বক্তব‍্য, নতুন প্রজন্ম স্ট্রাগল করতে শেখেনি। সবকিছুই চামচে করে তাদের মুখের সামনে তুলে ধরতে হয়। কিছু না করেও কাজ চায়। আর তা না পেলেই অবসাদ, তারপর আত্মহত‍্যা।

IMG 20220526 212226
রচনা বলেন, তাঁদের সময়টা অন‍্য রকম ছিল। স্ট্রাগল করে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে হত। এমনি এমনি কেউ সামনে গুছিয়ে দেয়নি। আর এখনকার মেয়েদের সব চটজলদি। স্কুলের গণ্ডি পেরোতে না পেরোতেই সিরিয়াল করতে চলে আসছে মেয়েরা। হাতে কাঁচা টাকা পেয়েই ফুর্তি শুরু। তাদের কাছে এটাই জীবন।

অথচ এদের জন‍্য দোষী হন বাবা মায়েরা। আর সেটাতেই ক্ষোভ রচনার। বাবা মায়েরা সব সময় সন্তানদের ভাল চায়। কিন্তু সন্তানরা তাদের কথা শুনলে তবে তো? রচনা স্পষ্ট বলেন, এই মেয়েগুলোর জন‍্য তাঁর বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় না। বরং তাদের বাবা মায়ের জন‍্য খারাপ লাগে তাঁর।

একটা ছেলের জন‍্য কখনোই নিজের জীবন শেষ করা উচিত নয়‌। নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ কখনোই অন‍্যের হাতে তুলে দেওয়া উচিত নয়, মত রচনার। তাঁর ক্ষোভ, এই প্রজন্মের কাছে বন্ধুরাই সব। বাবা মা হল শত্রু। অবশ‍্য নিজের ছেলেকেও ছেড়ে কথা বলেননি রচনা।

ছেলে প্রণীলকে ‘বেয়াড়া’ বলে রচনা জানান, তিনি অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ছেলের দাবি, মা নাকি ভুল। এই মেয়েদের হতভাগ‍্য বাবা মাদের জন‍্য তাই কষ্ট প্রকাশ পেয়েছে রচনার। বাবা মা কষ্ট করে মানুষ করেছে। আর মেয়েরা কাজ না পেলে, একটা ছেলে তৃতীয় বউ হতে পারলে গলায় দড়ি দেবে! এদের কাউন্সেলিং দরকার বলে মত রচনার।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর