বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাহুলের (Rahul Gandhi) কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেশ গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন রাধিকা খেরা (Radhika Khera)। অবশ্য আজকাল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বড় বড় অভিযোগ ওঠা বেশ আম বাত হয়ে গিয়েছে। রাধিকা খেরার বলেছেন, তিনি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে আসার পর থেকেই কংগ্রেস তাকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। যা প্রমাণ করে কংগ্রেস কতখানি হিন্দু বিরোধী পার্টিতে পরিণত হয়েছে। এমনকি এক নেতার বিরুদ্ধে মদ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগও নিয়ে আসেন তিনি।
রাধিকা খেরা বলেন, রাহুল গান্ধী যখন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চালাচ্ছিলেন সেসময় ছত্তিশগড় কংগ্রেসের মিডিয়া চেয়ারম্যান সুশীল আনন্দ সুখা তাকে মদের প্রস্তাব দেন। শুধু তাই না, সুশীল আনন্দ সুখা ৫-৬ জন দলীয় কর্মীকে সাথে নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় রাধিকার বাড়িতেও ধাক্কা দেন। তার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়। এমনকি তাকে রুম থেকে তালাবন্ধও করে দেওয়া হয়।
এরপর রাধিকা বিষয়টি কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা শচীন পাইলট এবং জয়রাম রমেশকে জানান। কিন্ত সেখান থেকেও কোনো সুরাহা হয়নি তার। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে গত ৪ মে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন রাধিকা খেরা। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন তিনি বলেন, “ আমি সর্বদা শুনেই এসেছি যে, কংগ্রেস রাম-বিরোধী, সনাতন-বিরোধী এবং হিন্দু-বিরোধী, কিন্তু আমি কখনও তা বিশ্বাস করে উঠতে পারিনি। কিন্তু আজ বাস্তবতা জানতে এবং বুঝতে পারলাম।”
তিনি বলেন যে, “ আমি আমার ঠাকুমার সাথে রাম মন্দির বেড়াতে গেছিলাম। সেখান থেকে ফিরে বাড়ির দরজায় জয় শ্রী রামের পতাকা লাগাই। তারপর যখনই তার ছবি বা ভিডিও পোস্ট করি তখনই কংগ্রেস পার্টি শুরু করে দেয়। আমাকে তিরস্কার করা হয় এবং জিজ্ঞাসা করা হয় কেন আমি অযোধ্যায় গিয়েছিলাম।” এসময় রাধিকা জানান যে, তার সমর্থনে আসেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম।
কংগ্রেস থেকে রাধিকার পদত্যাগ সর্ম্পকে আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম বলেন, “যে প্রকৃত অর্থে দেশপ্রেমিক, রামভক্ত এবং যে সনাতনে বিশ্বাস করে সে কখনোই কংগ্রেসে থাকতে পারবে না। তালিকাটা অনেক লম্বা, আগামী ৪ জুনের মধ্যে সেখানে আরো বেশ বড় কয়েকজন নেতাও থাকতে চলেছেন। এরা সবাই দল ছাড়তে প্রস্তুত, কারণ যারা এই দেশকে ভালোবাসে, দেশের কথা বলে তারা কংগ্রেসে থাকতে পারে না। বরং যারা পাকিস্তানের গান গায় তারাই কংগ্রেসে থাকবে।”