বাংলা হান্ট ডেস্ক : শীতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) । বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও বাংলার আকাশে কালো মেঘ। যার জেরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে বঙ্গে। ইতিমধ্যেই কলকাতার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির উপরে। পশ্চিমের জেলাতেও তাপমাত্রা প্রায় ১৫ ডিগ্রির ঘরে। আন্দামান সাগরের এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
IMD রিপোর্ট
হাওয়া অফিসের (Weather) খবর, আগামি ২ ডিসেম্বর শনিবার বঙ্গোপসাগরের এই নিম্নচাপ বদলে যাবে ঘূর্ণিঝড়ে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে থাকলেও পরে তা দিক বদলে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। যদিও ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোন পথে এবং কোথায় আছড়ে পড়বে সেই বিষয়ে কোনও পোক্তা খবর দেয়নি মৌসম ভবন (India India Meteorological Department)।
কোথায় হবে ল্যান্ডফল?
তবে আবহাওয়াবিদদের অনুমান, এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূলের যে কোনও জায়গাতেই আছড়ে পড়তে পারে। আপাতভাবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মায়ানমার নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজউম’র (Michaung) প্রাথমিক টার্গেট ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকেই বেশি। ওদিকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার আঘাত পড়তে চলছে আগামী বৃহস্পতিবার। তার জেরে বদলাতে পারে বাংলার হাওয়া।
আরও পড়ুন : দাদা ইউভানের সঙ্গে মিল! রাজ-শুভশ্রীর কন্যার নামের অর্থ জানলে অবাক হবেন আপনিও
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল
এদিকে এই ঘূর্ণাবর্তটি এখন রয়েছে উত্তর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, রাজস্থান এবং আরব সাগরের মহারাষ্ট্র উপকূলে। যার জেরে শীতের আগমণ এখন ব্যাহত। তবে উপকূলীয় এলাকায় এবং উপকূল সংলগ্ন এলাকার আবহাওয়ায় আমূল বদল আসতে পারে। অন্যদিকে বঙ্গের বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, রাতের দিকে তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।
আরও পড়ুন : পাখির চোখ অরুণাচল, চিনকে শিক্ষা দিতে মহা প্ল্যান ভারতের! বিনিয়োগ হচ্ছে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
শীত হোক বা গ্রীষ্ম, এই দুই ক্ষেত্রেই রেকর্ড গড়ে থাকে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। সেখানে নভেম্বরে শেষ লগ্নে পৌঁছেও ঠান্ডার আমেজ উপভোগ করতে পারছে না বাঁকুড়া পুরুলিয়ার মানুষ। প্রতিনয়তই চলছে ঠান্ডা গরম ভোল বদলের খেলা। তবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার কথা বললে, পাহাড়ি আকাশ আপাতত ঝরঝরে পরিষ্কার। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি নিয়ে আসবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা।