বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে গোটা ভারত জ্বালাচ্ছে একদল মানুষ। আর সেই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করছে রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের নেতা, নেত্রীরা। দেশের রাজধানী দিল্লীও এই অশান্তির আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি।
দিল্লীর জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Millia Islamia) ছাত্ররা গতকাল নাগরিক সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখায়। কিন্তু সেই প্রতিবাদ আচমকাই হিংসার রুপ নিয়ে নেয়। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দিল্লীর তিনটি বাস আর একটি ফায়ার ব্রিগেডের ইঞ্জিনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর দিল্লী পুলিশ জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে ছাত্রদের মারধর করে।
আরেকদিকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা কেরলের ওয়ানাড এর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi) নাগরিকতা সংশোধন আইন আর এনআরসি নিয়ে দেখানো বিক্ষভকারীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে লেখেন, CAA আর NRC দ্বারা ভারতে ফ্যাসিবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আর এই আইন এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় হাতিয়ার হল শান্তিপূর্ণ আর অহিংসক সত্যাগ্রহ। কংগ্রেস নেতা বলেন আমি সেই সমস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াচ্ছি যারা শান্তিপূর্ণ ভাবে আর একজোট হয়ে CAA এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
লাকায়া জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চরম হাঙ্গামা সৃষ্টি করে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বিগত চারদিন ধরে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। সরকার যতই হুঁশিয়ারি দিক না কেন, তাঁরা এই অশান্তি থামাতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ। আরেকদিকে মমতা ব্যানার্জীর সরকার এবং স্বয়ং মমতা ব্যানার্জী এই অশান্তির মধ্যে নাগরিকতা সংশোধন আইন নিয়ে রাস্তায় নামছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মমতা ব্যানার্জীর এই পদক্ষেপ রাজ্যে আরও অশান্তি বাড়াতে পারে।
The CAB & NRC are weapons of mass polarisation unleashed by fascists on India. The best defence against these dirty weapons is peaceful, non violent Satyagraha. I stand in solidarity with all those protesting peacefully against the CAB & NRC.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) December 16, 2019
আরেকদিকে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মামলা আজ সুপ্রিম কোর্টে গেছে, আর আদালত এই মামলায় শুনানির জন্য প্রস্তুতও হয়েছে। আরেকদিকে উত্তর প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লখনউ এর নদবা কলেজেও হিংসাত্মক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় আজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরেকদিকে আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস খালি করা হচ্ছে।