বেসুরো আরও এক! নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বড় ঘোষণা বিজেপি বিধায়কের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দলবদলের জল্পনা জিইয়ে রেখে, এবার বেসুরো গান ধরলেন রায়গঞ্জের (raiganj) বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (krishna kalyani)। কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায় শনিবারই নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল শিবিরে। এরপর এই বিজেপি বিধায়কের কথায় উত্তর দিনাজপুরে বিজেপিতে ফের ভাঙনের জল্পনা শুরু হয়েছে।

সমস্ত রকম দলীয় কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার কথা জানালেও, বিধায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তাঁর এমন সিদ্ধান্তের পেছনে, উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধদের বিষয় উঠে আসছে। পাশাপাশি দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এই বিজেপি বিধায়ক।

Krishna Kalyani Giving Speech

তাঁকে না জানিয়েই জেলা কমিটির গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। দলীয় জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘আমাকে না জানিয়েই জেলা কমিটির গঠন করা হয়েছিল। বাসুদেব সরকার মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়ে চলেন, সকলকে নিয়ে চলেন না। তবে ভবিষ্যতে কি হবে, তা ভবিষ্যতই বলবে’।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, তারপর মঙ্গলবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের পর আবার শনিবার কালিয়াগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক সৌমেন রায়। এই নিয়ে একই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে বিজেপির ৩ বিধায়ক গিয়ে নাম লেখালেন তৃণমূল শিবিরে। নির্বাচনের পূর্বেরকার ভাঙনের ধারা অব্যহত রেখে, এখন তৃণমূল নয়, বিজেপি থেকেই নাম কাটিয়ে নিচ্ছেন নেতৃত্বরা।

তবে এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, ‘গরু ছাগল হলে না হয় আটকে রাখতাম, কিন্তু তা তো নয়। দলবদল এখন কেমন একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর