বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিয়ে বিতর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সংবাদ শিরোনামে ঘোরাফেরা করছেন সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান (nusrat jahan)। নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘বিয়ে’ অস্বীকার করে তাকে লিভ ইন তকমা দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, তুরস্কে করা রাজকীয় স্টাইলে বিয়ে নাকি অবৈধ।
এই বিতর্কের জল গড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। নুসরতের বিরুদ্ধে তাঁরই বিবৃতিকে হাতিয়ার করে তোপ দেগেছে বিজেপি। প্রথমে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য নুসরতের লোকসভা সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার ভিডিওটি টুইট করে কটাক্ষ ছুঁড়েছিলেন। সেখানে স্পষ্ট অভিনেত্রী সাংসদকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’। উপরন্তু সেদিন সংসদে সম্পূর্ণ বিবাহিতা হিন্দু নারীর সাজে উপস্থিত হয়েছিলেন নুসরত। হাতে ছিল নিখিলের নামের চূড়া, সিঁথিতে সিঁদুর।
প্রশ্ন উঠেছিল, নুসরত কি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলেন? বিজেপি সাংসদ সঙ্ঘমিত্রা মৌর্য্যও লোকসভার স্পিকারকে এই মর্মে চিঠি দিয়ে নুসরতের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা টলি পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (raj chakraborty)।
রাজ বলেন এটা নুসরতের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয় তবে তিনি নুসরতকে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সবথেকে বুদ্ধিমান বলেই জানতেন। কোথায় কোন কথাটা বলতে হয় সেটা নুসরত বোঝেন। রাজের কথায়, সম্ভবত ওই কথাগুলো বলতে কোনো ভুল হয়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে নুসরত নিজেকে শুধরে নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাজ।
সম্প্রতি নুসরত দাবি করেন, দু সপ্তাহ আগেই নাকি ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের (marriage annulment) প্রতিলিপি লোকসভায় জমা দিয়েছেন তিনি। এবার স্বাভাবিক ভাবেই এখানে প্রশ্ন উঠছে, নুসরত নিজেই বলেছিলেন তাঁর ও নিখিলের বিয়ে বৈধ নয়। তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। তবে যে বিয়েটাই হয়নি সেটা বাতিল হয় কিকরে আর তার প্রতিলিপিই বা কিকরে জমা দেন নুসরত।
নুসরতের বক্তব্য অনুযায়ী, আদালতে ম্যারেজ অ্যানালমেন্টের মামলা শুরু হওয়ার পরেই লোকসভায় তার প্রতিলিপি জমা দেন তিনি। তারপরেই ৯ জুন সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন নুসরত। তবে এই নতুন শুরু হওয়া বিতর্ক নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি সাংসদ অভিনেত্রী।