বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেকে (KK) রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) বিতর্ক এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক। সবটা শুরু হয় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত গায়কের একটি ভিডিও বার্তা থেকে। ‘কেকের থেকে ভাল গাই’, রূপঙ্করের এই মন্তব্য ক্ষোভের আগুন উসকে দিয়েছিল বিভিন্ন মহলে। শুক্রবার নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন রূপঙ্কর। কিন্তু ট্রোল এখনো থামেনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিষয়টা নিয়ে শিল্পীদের অনেকেই রূপঙ্করের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। আবার কয়েকজনকে পাশেও পেয়েছেন তিনি। বিতর্কে কোন পক্ষে রয়েছেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty), পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা (Parambrata Chatterjee)?
সংবাদ মাধ্যমকে রাজ বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব বুঝেশুনে মুখ খোলা উচিত বলে মনে করেন তিনি। হুট করে কোনো একটা কথা বলে ফেলা বা আবেগ প্রকাশ করে ফেলা উচিত নয় যা অন্যকে কষ্ট দেয়। যে খারাপ কথা বলেছে আর যারা সেই কথার উত্তরে আরো খারাপ কথা বলছে, তাদের কাউকেই সমর্থন করেন না পরিচালক।
তবে একই সঙ্গে রাজ বলেন, রূপঙ্করকে অনেক দিন ধরেই চেনেন তিনি। তাঁর মতো শিল্পীর কাছে এটা আশা করা যায়নি। কেকেও সবার খুব প্রিয় একজন শিল্পী, মানুষ হিসাবেও। রূপঙ্কর ঠিক করেননি। তবে যারা তাঁকে ট্রোল করছেন তারাও ঠিক করছেন না বলে মন্তব্য করেন রাজ।
অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আবার মনে করেন, রূপঙ্কর বাগচীও এক রকম ট্রোলই করছিলেন কেকে কে। তিনি বাংলার শিল্পীদের হয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বলতে গিয়ে অন্য শিল্পীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা, ছোট করার কোনো মানে হয় না। তবে রূপঙ্করও ভাবেননি যে এমন কিছু ঘটবে। তাই তাঁকেও ট্রোল করা উচিত নয় বলে মত পরমব্রতর।
শুক্রবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন রূপঙ্কর বাগচী। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ীও। গায়ক জানান, বিতর্কিত ভিডিওটি আসার আগেই ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে রূপঙ্কর বলেন, কেকের প্রতি তাঁর কোনো ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই। আর কেনই বা থাকবে?
তিনি আরো জানান, গত কয়েকদিন যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা তা এত বছরের কেরিয়ারেও কখনো হয়নি। কেকের পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ করার উপায় নেই। তাই সাংবাদিকদের মাধ্যমেই তিনি নিজের দুঃখ প্রকাশ করেন। কেকের আত্মার শান্তি কামনা করেন।