বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সেমিফাইনালে চার নয় একেবারে ছক্কা হাকিয়েছে বিজেপি (BJP)। সামনের বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে সব থেকে ভালো ফল করল মোদীর বিজেপি। এদিকে ৩ রাজ্যে গেরুয়া ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল কংগ্রেস (Congress)। যদিও তেলেঙ্গনায় ক্ষমতায় এসেছে হাত। কং শিবির খারাপ ফল করতেই তাকে জোর বিঁধল জোট সঙ্গী তৃণমূল। ‘এটা বিজেপির জয় নয়, এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা’ এমনটাই শোনা গেল তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) গলায়।
ঠিক কি বললেন কুণাল? তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, “তিন রাজ্যে বিজেপি কংগ্রেসকে পরাজিত করে সরকার গড়ার পথে। একটি রাজ্যে যেখানে অন্য একটি দল ক্ষমতায় ছিল তাদের হারিয়ে কংগ্রেসের জেতার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির জয় এটা বিজেপির সাফল্য নয়, বরং কংগ্রেসের ব্যর্থতা। কংগ্রেসের যে দুর্বলতা, সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথা আমরা বারবার বলছিলাম, এটা সেটাই। এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা, বিজেপির জয় নয়।”
অন্যদিকে, কুণাল এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখেন,
1) তিন রাজ্যে এটা যত না বিজেপির সাফল্য, তার চেয়ে বেশি কংগ্রেসের ব্যর্থতা।
2) ভিন রাজ্যে জিততেও
@MamataOfficial
র স্কিমগুলি নকল করেছে অন্য দল।
3) লোকসভা ভোটে এর প্রভাব পড়বে না। মিলিত INDIA জোটের প্রভাব থাকবে।
4) দেশে বিজেপিকে হারানোর লড়াইতে নেতৃত্ব দেওয়ার দল
@AITCofficial
অর্থাৎ বিজেপির জয়ের থেকেও তৃণমূলের কাছে এখন বড় ফ্যাক্টর হল কংগ্রেসের হার। আবার ভিন রাজ্যে জিততে অনেকাংশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত স্কিমগুলি নকল করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুণালের। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশে মহিলাদের জন্য ‘লাডলি বহেনা’ প্রকল্প চালু করেছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। প্রথমে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। পরে গত অগস্ট মাসে সেই অনুদানের পরিমাণ ১২৫০ টাকা করা হয়।
পাশাপাশি ফের ক্ষমতায় ফিরলে এই অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে মাসে ৩ হাজার টাকা করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যপ্রদেশে মোট ২.৭ কোটি মহিলা ভোটার রয়েছেন। শিবরাজের মতে, এই মহিলারাই তাদের জিতিয়েছেন। দু’হাত তুলে তাকে ভোট দিয়েছেন। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভাণ্ডারের অনুকরণেই বিজেপির এই প্রকল্প বলে দাবি তৃণমূলের।
আরও পড়ুন: ক্ষণে ক্ষণে অজ্ঞান! ‘ঠাকুর আমার কোনও দোষ নিও না’, কেবিনে একা বসে কাতর প্রার্থনা জ্যোতিপ্ৰিয়র
ওদিকে দলের আরেক মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যও ‘বন্ধু’ কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন,
“দুঃখের বিষয়, উত্তর ভারতে কংগ্রেসের একটাও ডিকে শিবকুমার নেই। কংগ্রেস তৈরি করতে পারেনি। পারলেও ধরে রাখতে পারেনি। বহুক্ষেত্রে ইগো ছেড়ে বাস্তবতাকে বুঝতে শিখতে হব। শুধু ভোটের সময় জেগে উঠলে হবে না; সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হবে।”
এরপরই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে নেতা লেখেন, “এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপিকে বিজেপির ভাষায় লড়াই ফিরিয়ে দেওয়ার শক্তি আর কজনের আছে?”