টাইমলাইনবিনোদন

বাস কন্ডাকটরের জীবন, মদ-সিগারেটের নেশায় ডুবে গিয়েছিলেন রজনীকান্ত! অতীত জীবন নিয়ে অকপট ‘থালাইভা’

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কারোর কাছে তিনি মেগাস্টার, কারোর কাছে ‘থালাইভা’। দ‍্য ওয়ান অ্যান্ড ওনলি রজনীকান্ত (Rajinikanth)। দক্ষিণী ছবির মহীরূহ সমান মানুষটা ৭০ পেরিয়েও এক নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন। তাঁর ক‍্যারিশ্মায় মুগ্ধ আট থেকে আশি। কিন্তু থালাইভার জীবনেও কিন্তু চড়াই উতরাই কম আসেনি। একটা লম্বা সময় পর্যন্ত একের পর এক বদভ‍্যাস চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেষ সুপথে ফিরলেন কীকরে রজনীকান্ত?

crockex

সম্প্রতি নিজের শ‍্যালক ওয়াই জি মহেন্দ্রর ডাকে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন রজনীকান্ত। সেখানেই নিজের অতীত জীবনের কথা তুলে ধরেন তিনি। রজনীকান্ত বলেন, “আমি যখন বাস কন্ডাকটর ছিলাম, তখন বদসঙ্গে পড়ে অনেক খারাপ অভ‍্যাস তৈরি হয়েছিল। দিনে দুবেলা মাটন খেতাম। প্রতিদিন মদ খেতাম আর না জানি কতগুলো সিগারেট খেতাম। সিনেমায় আসার পর টাকা আর খ‍্যাতির জেরে এগুলো কতটা বেড়ে যায় তা বুঝতেই পারছেন।”

রজনীকান্ত,থালাইভা,বাস কন্ডাকটর,নেশা,বদভ‍্যাস,rajinikanth,thalaiva,bus conductor,bad habit
এরপর রজনীকান্ত আরো বলেন, “রোজ সকালে মাটন পায়া, আপ্পাম, চিকেন এসব খাওয়ার জেদ করতাম। নিরামিষাশীদের অবজ্ঞা করতাম। সত‍্যি বলতে সিগারেট, অ্যালকোহল আর মাংস এগুলো একসঙ্গে খাওয়া খুবই বিপদজনক। যারা নিয়ন্ত্রণ ছাড়া এগুলো খায়, ৬০ বছর বয়স পর্যন্তও তারা সুস্থভাবে বাঁচতে পারে না। এমন অনেক উদাহরণ আছে।”

শেষে সুস্থ জীবনে ফিরলেন কীকরে রজনীকান্ত? আজ ৭৩ বছর বয়সেও সুস্থ ভাবে কাজ করছেন তিনি। এর জন‍্য স্ত্রী লতার প্রতি কৃতজ্ঞ অভিনেতা। অনুষ্ঠানে শ‍্যালককে ধন‍্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর জন‍্যই লতার সঙ্গে আলাপ হয় আর লতার ভালবাসার জোরেই তিনি সঠিক পথে ফিরে আসেন।

পর্দাতেও বহুবার ধূমপানের দৃশ‍্যে অভিনয় করেছেন রজনীকান্ত। তাঁর সিগারেট ধরার কায়দা, ধূমপানের স্টাইল ট্রেডমার্ক দক্ষিণী ছবিতে। থালাইভাকে দেখে তরুণ প্রজন্মও প্রভাবিত হয়েছে ব‍্যাপক ভাবে। শেষমেষ ‘চন্দ্রমুখী’ ছবি থেকে পর্দায় ধূমপানের অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নেন রজনীকান্ত। পরবর্তীকালে এক দুটি ছবিতে এমন দৃশ‍্যে অভিনয় করলেও ধূমপান এবং মদ‍্যপানের খারাপ দিকটাই তুলে ধরেছেন তিনি।

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker