পায়ের সাথে তুলনা! মমতার মন্তব্যকে তীব্র ধিক্কার রাজবংশী-মতুয়াদের, দিল বড়সড় হুঁশিয়ারি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে বহুবার বিভিন্ন বক্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা বিদ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত ২৮শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যকে ঘিরে ফের একবার সমালোচনার ঝড়। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জাতির মধ্যে ঐক্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে শরীরের এক একটি অঙ্গের সাথে এক একটি জাতির তুলনা করেন।

সেই বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পায়ের সাথে তুলনা করেন রাজবংশীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে সাংবাদিক বৈঠক করে মঙ্গলবার। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের নিন্দা করে সরব সোশ্যাল মাধ্যমে।

আরোও পড়ুন : দিঘার উপর দিয়ে মৌসুমি অক্ষরেখা, বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের ইঙ্গিত

সোশ্যাল মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “রাজবংশী শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো গিয়ে “রাজকীয় সম্প্রদায়” অথবা রাজার বংশধর। ব্যুৎপত্তিবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কোচ রাজবংশের উত্তরাধিকারিদের একটি ধারা রাজবংশী জনজাতিগোষ্ঠীর সূচনা করেছিলেন। রাজবংশীদের একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে।

অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দ্বিধায় তাঁদের নিজের পায়ের সাথে তুলনা করে দিলেন। করতে পারলেন এমন? ইদানিং একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলটপকা কোন মন্তব্য করে বসলে, ওনার দলের মুখপাত্ররা তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলে থাকেন যে উনি সচেতন ভাবেই বলেছেন, ওনার কোনও ভুল অভিসন্ধি ছিলো না, ওনার বক্তব্যের নির্দিষ্ট অংশ কে আলাদা করে বেছে নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।”

আরোও পড়ুন : কেষ্ট গ্রেফতারির বর্ষপূর্তি! নিজে হাতে গুড়-বাতাসা বিলি ভাইপো অনুপমের, হইহই বিশ্বভারতীর সামনে

পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে খোঁচা দিয়ে বলা হয়েছে, শুভেন্দু-সুব্রতরা পা ছাড়া হেঁটে দেখাক। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে পায়ের গুরুত্ব কম নয়। ওরা ভুল কথা বলে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন মানুষকে।অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনের বক্তব্যে মতুয়াদেরও তুলনা করেছেন পায়ের সাথে। বুধবার দুপুরে সেই ব্যাপারে ঠাকুরবাড়িতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।

mamata 2

মতুয়া মহাসংঘের মহাসংঘাধিপতি তথা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেছেন, “আমাদের ঠাকুর সম্পর্কে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বিকৃত মন্তব্য করেছেন। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে ইচ্ছা করে ভুল করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কাছে এটি কাম্য নয়। রাজবংশীদের সাথে যৌথভাবে প্রতিবাদ করব আমরা।” সব মিলিয়ে বলা যায়, রাজবংশী ও মতুয়া দুই সম্প্রদায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর উপর।

 

 

 

 

ad

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর