সরকারি কর্মীদের মতো সুবিধা রাম মন্দিরের পুরোহিতদের! বেতন বৃদ্ধি সহ মিলবে আবাসিক ভাতা ও ছুটি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অযোধ্যায় (Ayodhya) এখন রীতিমতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বহুকাঙ্ক্ষিত রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ। সমগ্র দেশজুড়েই ভক্তরা এই মন্দিরের তৈরি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। পাশাপাশি মন্দিরটি ইতিমধ্যেই সবার কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।

এমতাবস্থায় প্রায়শই এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ কতদূর এগোলো এই প্রসঙ্গে ছবি এবং ভিডিও সামনে আনা হয় নেটমাধ্যমে। যেগুলি ঝড়ের গতিতে ভাইরালও হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, আগামী বছরের শুরুতেই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসব সম্পন্ন হবে। তবে এবার একটি তথ্য বড় সামনে এসেছে।

Ram temple priests get the same benefits as government employees

এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার রামজন্মভূমির পুরোহিতদের সুদিন আসতে চলেছে। শুধু তাই নয়, এবার মন্দিরের পুরোহিত ও কর্মচারীদের সরকারি পর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শ্রীরাম জন্মভূমির মুখ্য আচার্য সত্যেন্দ্র দাস জানিয়েছেন যে, শ্রীরাম মন্দির ট্রাস্ট এবার রামলালার সেবায় নিযুক্ত পুরোহিত এবং কর্মচারীদের সরকারি স্তরের সুবিধা প্রদান করবে।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর পূর্ণ হল ৩ বছর! কবে হবে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা? সামনে এল বড় তথ্য

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই আশ্বস্ত করেছেন খুব শীঘ্রই পুরোহিত এবং কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে। এই বিষয়ে চিন্তাভাবনাও চলছে। এছাড়াও, সত্যেন্দ্র দাস দাবি করেছেন যে, এবার থেকে মন্দিরের পুরোহিতের চিকিৎসাজনিত সুবিধার পাশাপাশি আবাসিক ভাতাও দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: দেখে বিশ্বাস হবে না! প্রকাশ্যে এল রাম মন্দির নির্মাণের তাজা ছবি, জানুন কতটা এগোল কাজ

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সরকারি ছুটিতে পুরোহিতদেরও ছুটি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, বর্তমান সময়ে চারজন পুরোহিতসহ মোট আটজন কর্মচারী রামলালার সেবায় মন্দিরে নিয়োজিত রয়েছেন। এমতাবস্থায়, পুরোহিতদের বেতন বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সত্যেন্দ্র দাস।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর