কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই বিরাট চমক, ধর্মীয় গোঁড়ামিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘রামায়ণ’ মঞ্চস্থ পাকিস্তানে

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই নতুন করে বিঘ্নিত হয়েছে ভারত পাকিস্তানের (Pakistan) কূটনৈতিক সম্পর্ক। তার আঁচ পড়েছে বিনোদন জগতেও। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলা, তারপর দুই দেশের মধ্যে সংঘাত সব মিলিয়ে পাকিস্তানি (Pakistan) তারকাদের ভারতে কাজ করায় জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। বেশ কিছু পাক শিল্পীদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টেও পড়ে রেস্ট্রিকশন। এই পরিস্থিতিতেই পাকিস্তান (Pakistan) থেকে এল এমন একটা খবর যা চমকে দিয়েছে ভারতীয় বিনোদন জগৎকে।

পাকিস্তানে (Pakistan) মঞ্চস্থ করা হল ‘রামায়ণ’

কট্টরপন্থীদের কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাকিস্তানে মঞ্চস্থ হল হিন্দু ধর্মীয় মহাকাব্য ‘রামায়ণ’। সিন্ধ প্রদেশের অন্তর্গত করাচি (Pakistan) শহরের করাচি আর্ট কাউন্সিলে নাটকটি মঞ্চস্থ করে করাচিরই নাট্যদল ‘মউজ’। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করা হচ্ছে সর্বত্র। পাকিস্তানের (Pakistan) মতো একটি দেশ যেখানে মৌলবাদীদের চোখ রাঙানির বহু দৃষ্টান্ত আগেও দেখা গিয়েছে, সেখানে রামায়ণ মঞ্চস্থ করার ভাবনাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে রামায়ণে এআই প্রযুক্তির ব্যবহারও প্রশংসিত হচ্ছে।

Ramayana staged in Pakistan

কী বললেন পরিচালক: শিল্প যে সীমান্তের গণ্ডি মানে না, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল বলে মনে করছেন অনেকে। এ বিষয়ে পরিচালক ইয়োহেশ্বর কারেরা বলেন, তাঁর কখনোই এটা মনে হয়নি যে পাকিস্তানে (Pakistan) রামায়ণ মঞ্চস্থ করলে তিনি হুমকির মুখে পড়বেন। বাইরে পাকিস্তানকে অসহনশীল দেশ হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান (Pakistan) অনেক বেশি সহনশীল এক রাষ্ট্র।

আরও পড়ুন : কোনও নিয়ম মানছে না ইসকন, অভিযোগ তুলে এবার পুজোর রীতিনীতির ‘কপিরাইট’ নিতে চলেছে পুরীর মন্দির!

প্রশংসিত হচ্ছে অভিনয়: ও দেশেও নাটকটি বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে বলে জানান পরিচালক। অভিনেতাদের অভিনয় উঠে এসেছে চর্চায়। দুই দেশের মাঝে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে এই উদ্যোগ সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

আরও পড়ুন : আগেও এসেছিল সতর্কবার্তা, এয়ার ইন্ডিয়ার ‘গাফিলতি’তেই এত বড় দুর্ঘটনা? জ্বালানি সুইচ নিয়ে বিষ্ফোরক মার্কিন সংস্থা

মউজ থিয়েটার দলের তরফে জানানো হয়, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংবেদনশীলতা বাড়াতেই এই নাটক মঞ্চস্থ করার ভাবনা। দক্ষিণ এশিয়ার সাংষ্কৃতিক বিনিময়ে এক নতুন দিক খুলে দেবে বলেই আশা করছেন তাঁরা।